ভারতীয় মতে সংখ্যাতত্ত্বের উপর ভিত্তি করেও ভাগ্যফল নির্ধারণ এবং চরিত্রগণনা করা হয়। সাধারণত জন্মতারিখ অনুযায়ী হিসেব-নিকেশ করে সংখ্যাতত্ত্বের ক্ষেত্রে গণনা করা হয়ে থাকে। যেমন ধরে নেওয়া যাক, কারও জন্মতারিখ ১১। এক্ষেত্রে তাঁর জন্মগত সংখ্যা হবে ১+১= ২। ফলে তাঁকে সংখ্যাতত্ত্বের #২-এর গণনা দেখতে হবে। অর্থাৎ নিজের জন্মতারিখের যোগফল হিসেব করে সংখ্যাতত্ত্বের গণনা করা হয়।
advertisement
এই হিসেবে যাঁদের জন্ম ৩, ১২, ২১ এবং ৩০ তারিখে, তাঁদের সংখ্যা ৩ রূপে গণ্য করতে হবে। অন্য দিকে, যাঁদের জন্ম ৫, ১৪ এবং ২৩ তারিখে, তাঁরা পড়বেন সংখ্যা ৫-এর আওতায়। দেখে নেওয়া যাক কেন এই দুই সংখ্যার সম্পর্ক অন্যের ঈর্ষার কারণ হয়ে ওঠে।
এই দুই সংখ্যার ব্যক্তিরা কোথাও গেলে লোকে ধরতে পারে না এরা বন্ধু না মনের মানুষ, সম্পর্কের রসায়ন এঁদের এতটাই নিবিড়। ফলে, এঁদের ভালবাসা সব সময়েই সবার নজর কাড়ে। এঁদের স্বভাবেও অনেক মিল, উভয়েই খোলামেলা, হুল্লোড়ে, ফূর্তিবাজ, প্রাণ খুলে বাঁচতে জানেন। সব চেয়ে বড় কথা, একে অপরকে ভরিয়ে রাখেন উদ্দাম ভালবাসায়। সংখ্যা ৩ যেমন পরিশ্রম করে অর্থ উপার্জন করতে জানেন, সংখ্যা ৫ তেমনই জানেন তা বুঝেসুঝে খরচ করতে। ফলে, এঁদের সম্পর্ক সব দিক থেকেই দৃষ্টান্ত হয়ে উঠতে পারে।
সমস্যা একটাই- এঁরা কেউই চিরস্থায়ী সম্পর্কে চট করে যেতে চান না। যদিও নির্দিষ্ট উপায় অবলম্বনে সেই সমস্যাও দূর হতে পারে, বছরের পর বছর একসঙ্গে সুখে ঘর করতে পারেন এঁরা। এর জন্য:
– মন্দিরে বা দরিদ্রদের দধি দান করতে হবে
– মদ, আমিষ, তামাক, চর্মজ দ্রব্য পরিহার করতে হবে