তাই এই সময়টাই বেশিরভাগ মানুষ বেছে নেন বিবাহ উৎসবের জন্য। হিন্দু পঞ্জিকা অনুসারে নভেম্বর মাস থেকেই শুরু হয় শুভ সময়। এই মাসে দেবোত্থানী একাদশীর পর শুভ কাজ করার জন্য সময় পাওয়া যায়। এই বছরও অনেকগুলি শুভ সময় রয়েছে এই মাসে, যখন বিবাহ কার্য সম্পন্ন করা যেতে পারে।
আরও পড়ুনঃ আজ দুপুরের পর হাতে টাকা আসবে? না জলের মতো খরচ হবে? নিজের রাশি মিলিয়ে জানুন!
advertisement
এই বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালে দেবোত্থানী একাদশী পড়েছে ২৩ নভেম্বর তারিখে। হিন্দু ধর্মের প্রথা ও পৌরাণিক বিশ্বাস অনুসারে, এই দিন থেকেই সমস্ত শুভকাজ শুরু করা যেতে পারে।
জ্যোতিষী দেবেন্দ্র আচার্য জানান, আষাঢ় মাসের শুক্লপক্ষের একাদশী তিথিতে ভগবান বিষ্ণু অন্য সমস্ত দেবতাদের সঙ্গে ক্ষীরসাগরে অনন্ত শয্যায় নিদ্রামগ্ন হন। তারপর থেকে পৃথিবীতে সমস্ত শুভকাজ বন্ধ হয়ে যায়। এরপর কার্তিক মাসের একাদশী তিথিতে ভগবান বিষ্ণু, সকল দেবতাদের সঙ্গে জেগে ওঠেন। তারপর থেকে দেবদেবীদের সাক্ষী রেখে আবার শুরু হয় সমস্ত শুভকাজ।
আসলে বছরের ১২ মাসে ২৪টি একাদশী তিথি হয়। কিন্তু এই ২৪টি একাদশীর মধ্যে দেবোত্থানী একাদশীর বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। পৌরাণিক বিশ্বাস অনুযায়ী মনে করা হয়, এই বিশেষ তিথিতে অর্থাৎ দেবোত্থানী একাদশীর রাতে শালগ্রাম শিলার সঙ্গে বিবাহ হয়েছিল মাতা তুলসীর। তাই এই বিশেষ তিথিটিকেও বিবাহের জন্য খুব শুভ ও উপযুক্ত বলে মনে করা হয়।
জ্যোতিষী দেবেন্দ্র আচার্য বলেন, হিন্দু পঞ্জিকা অনুসারে, নভেম্বর মাসে মাত্র দু’টি লগ্ন রয়েছে যা বিবাহের জন্য খুব উপযুক্ত। আর তিলকোৎসব এবং আশীর্বাদের মতো শুভকাজও করা যেতে পারে এই লগ্নেই।
কোন কোন দিন এই শুভ কাজ সম্পন্ন হতে পারে, দেখে নেওয়া যাক এক নজরে—
নভেম্বর মাসের ২৪, ২৭, ২৮ এবং ২৯ তারিখে এই শুভ কাজ করা যেতে পারে। হিন্দু পঞ্জিকা অনুসারে, নভেম্বর মাসের ২৫ ও ২৮ তারিখটি কর্ণবেধের জন্য আদর্শ। অন্নপ্রাশনের শুভ লগ্ন পাওয়া যাবে ২২, ২৩ ও ২৭ নভেম্বর তারিখে। তবে নভেম্বর মাসে ব্রতবন্ধের জন্য কোন শুভ সময় নেই।