বৈদিক জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, যাদের নাম ‘M’ দিয়ে শুরু হয় তাঁরা সাধারণত খোলামেলা মনের মানুষ হন, এঁদের মনে যা থাকে, তাই মুখে বলেন। বলা হয় যে এঁরা অনেক সময় সামনের ব্যক্তিকে মানসিকভাবে আঘাত করেও কথা বলেন। এঁরা অন্যায় কাজ করা বা অন্যায় কাজকে প্রশ্রয় দেন না, সঙ্গে সঙ্গে এর বিরোধিতা করেন।
advertisement
এঁরা সাধারণত নিজেদের অনুভূতি প্রকাশ করতে দ্বিধাবোধ করেন। ভালোবাসার ক্ষেত্রে ‘M’ বর্ণ দিয়ে নাম শুরু হওয়া নামের ব্যক্তিরা আবেগপ্রবণ হন, এঁরা খুব তাড়াতাড়ি প্রেমে পড়লেও অনুভূতি প্রকাশে দ্বিধাগ্রস্ত হন। তবে সম্পর্ক গড়তে এবং সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে এঁরা সর্বদা সচেষ্ট হন।
এঁদের ভাষার ওপর ভালো দখল থাকে। রাজনীতিতে বিশেষ আগ্রহ থাকে। এর পাশাপাশি এঁরা ভালো বক্তা ও লেখকও বটে। এঁরা অনেকেই রাশভারি ভাবে কথা বলেন। এঁরা বেশিরভাগ সময়ে গভীর চিন্তায় মগ্ন থাকেন। সেরকম হলে এঁদের উত্যক্ত করা খুব বিপজ্জনক।
এঁরা শারীরিক গঠন অনুযায়ী খুবই আকর্ষণীয় হয়ে থাকেন। সাধারণত এঁদের চোখ বড় হয় এবং মুখে বেশ আলাদা একটা আভা দেখা যায়। বক্তা হিসেবেও এঁরা আকর্ষণীয়। বেশিরভাগ সময়ই সক্রিয় রাজনীতিতে এঁদের উপস্থিত থাকতে দেখা যায়।
আরও পড়ুন- ইংরেজিতে S দিয়ে নামের বানান শুরু? বা এমন বন্ধু আছে? তাহলে এই কথাগুলো জানলে ধোঁয়াশা কাটবে
ব্যক্তিত্বের দিক থেকে বলতে হলে এঁদের নাকের ডগায় রাগ উপস্থিত। স্বভাবগত ভাবেই এঁরা উগ্র প্রকৃতির হয়। এঁরা জানে না কিভাবে তাদের রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে হয়।
তবে এঁরা সত্যের মুখোমুখি হতে মোটেও আতঙ্কিত হন না কারণ এঁরা সত্য বলতে এবং সত্য শুনতে পছন্দ করেন।
স্বভাবগত দিক থেকে এঁরা কিন্তু একেবারেই লাজুক প্রকৃতির হন। তব সেই সঙ্গে বাইরে থেকে বোঝা না গেলেও এঁরা কিন্তু একগুঁয়েও হন। এই কারণেই এঁরা যা পছন্দ করেন, তা অর্জন করেই ছাড়েন, নিজের ওপর এঁরা অগাধ বিশ্বাস করেন।
আর্থিক বিষয়েও এঁরা অন্যদের চেয়ে আলাদা। অর্থ ব্যয়ের ক্ষেত্রেও তাই এঁরা অনেক এগিয়ে। টাকা খরচ করতে গেলে এঁদের কান্ডজ্ঞান লোপ পেয়ে যায়। যে কোনও তুচ্ছ বস্তুতেও এঁরা বেপরোয়াভাবে ব্যয় করেন।