আবার যাঁরা শত পরিশ্রম করেও নিজেদের ঘর বাঁধার স্বপ্ন পূরণ করতে পারছেন না, তাঁদের ক্ষেত্রে কিন্তু অনেকাংশেই দায়ী থাকে মঙ্গলগ্রহের খারাপ অবস্থান। পণ্ডিত ইন্দ্রমণি ঘনস্যাল বলেন, জন্মকুণ্ডলীতে মঙ্গল গ্রহকে শক্তিশালী করার জন্য শাস্ত্রে অনেক ধরনের প্রতিকার বলা রয়েছে। তাই জেনে নেওয়া যাক, কীভাবে মঙ্গল গ্রহকে তুষ্ট রেখে নিজের সাধের ঘর তৈরির স্বপ্ন পূরণ করা যাবে।
advertisement
আরও পড়ুন- চার মাস, চার রাশি! অকল্পনীয় সৌভাগ্য কি এবার আপনার খাতেই এল?
মঙ্গল দোষ কাটানোর নানা উপায়: শাস্ত্রে বলা হয় যে, কুণ্ডলীতে মঙ্গল-দোষ থাকলে মানুষের জীবন ঝামেলা-ঝঞ্ঝাটে ভরে ওঠে। জীবনে টাকা-পয়সার অভাব দেখা দেবে এবং আর্থিক সমস্যার সম্মুখীনও হতে হবে। এই সব ক্ষেত্রে জন্মকুণ্ডলীতে থাকা মঙ্গল দোষ দূর করা আবশ্যক। কিন্তু মঙ্গল দোষ দূর করা কিংবা মঙ্গলকে প্রসন্ন রাখার উপায়ই বা কী?
১. জ্যোতিষীদের মতে, মঙ্গল গ্রহকে আরও শক্তিশালী করে তুলতে বাড়িতে মঙ্গল যন্ত্র স্থাপন করা উচিত। এর জন্য মঙ্গলবার নিয়ম মেনে তামা অথবা অষ্টধাতু দিয়ে গড়া মঙ্গল যন্ত্রের পুজো করতে হবে। লাল কাপড় অথবা লাল চন্দনের চৌকিতে এটি স্থাপন করতে হবে। প্রতিদিন এই যন্ত্রের পুজো করার সময় ওই চৌকিতে লাল চন্দনের ৯টি ফোঁটা এঁকে দিতে হবে।
২. পুজো করার পাশাপাশি যিনি মঙ্গল দোষ কাটাতে চাইছেন, তাঁকে নিজের কপালে প্রতিদিন লাল চন্দনের তিলক লাগাতে হবে। এমনকী নিজের নাভিতে কেশরের টিপ দিলেও মঙ্গল প্রসন্ন হবে।
আরও পড়ুন- ভাষার বদলে বিনামূল্যে পেলেন খাবার! ভারতীয়দের মন জয় করলেন আমেরিকান ইউটিউবার
৩. বাড়িতে স্থাপন করা যেতে পারে লাল প্রবাল দিয়ে তৈরি গণেশের মূর্তি। সেই সঙ্গে যিনি মঙ্গলকে তুষ্ট করতে চাইছেন, তিনি নিজের গলায় ভগবান গণেশের লকেটও ধারণ করতে পারেন। প্রতিদিন মঙ্গল স্তোত্র পাঠ করা উচিত।
৪. এ-ছাড়া প্রতি মঙ্গলবার ভগবান শিবের অভিষেক করলে মঙ্গল গ্রহ শুভ অবস্থানে আসীন থাকে। এর পাশাপাশি প্রতি মঙ্গলবার পিঁপড়েকে গুড় মাখানো রুটি খাওয়ালেও তা শুভ প্রতিপন্ন হয়। আর নিয়ম মেনে এই বিষয়গুলি পালন করলে মঙ্গল সদা সুপ্রসন্ন থাকবেন এবং জীবনের কিছু কিছু স্বপ্ন অচিরেই পূরণ হয়ে যাবে!