প্রতি মাসে অষ্টমী তিথির সঙ্গে বৈশাখ মাসের অষ্টমী তিথির পার্থক্য রয়েছে। শিব ভক্তদের কাছে এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়। কারণ এই দিনে ভগবান শিব কালভৈরব রূপে অবতীর্ণ হন। তার উৎপত্তির কারণে এই দিনটিকে বলা হয় কালাষ্টমী বা ভৈরব অষ্টমী।
আরও পড়ুন:
পণ্ডিত উদয় শঙ্কর ভট্ট জানিয়েছেন যে এই দিনে ভক্তরা কাল ভৈরবকে খুশি করার জন্য কালাষ্টমী উপবাস করেন। লোকবিশ্বাস মতে, কোনও ব্যক্তি উপবাস রাখলে সারাদিন সত্য কথা বলা উচিত, অর্থাৎ উপবাসের সময় মনে কোনও নেতিবাচক চিন্তা রাখা উচিত নয়।
advertisement
ভৈরবকে খুশি করার উপায়
যে ব্যক্তি কালাষ্টমীর উপবাস পালন করবেন তাঁকে সকালে স্নান সেরে পুজো করতে হবে। এরপর সারাদিন উপবাসের পর সন্ধ্যায় কালভৈরবের পুজো করতে হবে। উদয়শঙ্কর ভট্ট জানিয়েছেন যে, ভক্ত যদি কাল ভৈরবকে খুশি করতে চান তবে ভগবানকে সর্ষের তেল দিয়ে অভিষেক করাতে হবে। যাঁদের মনে হয় কেউ তাঁদের উপর তন্ত্র-মন্ত্র বা জাদুবিদ্যা প্রয়োগ করেছে, তাঁরা এই পুজোয় মদ ব্যবহার করতে পারেন।
আরও পড়ুন: “বাবা বলেই ডাকি!” প্রিন্সিপালের সঙ্গে ছাত্রীর অন্তরঙ্গ ছবি ভাইরাল! চর্চায় ঠাকুরনগর!
নিষ্ঠা সহকারে পুজো করার পরে ময়দার তৈরি মিষ্টি কাল ভৈরবকে ভোগ হিসেবে নিবেদন করতে হয় এবং এর দ্বারাই ভক্তরাও উপবাস ভাঙেন। পণ্ডিতজি জানিয়েছেন যাঁরা সত্যিই কাল ভৈরবকে খুশি করতে চান, তাঁরা কালাষ্টমীর দিন শুদ্ধ চিত্তে ও মনে পূর্ণ বিশ্বাস নিয়ে তাঁর পুজো করুন। পুজো করার সময় মনে রাখতে হবে যে ভক্তদের নিজের আসনে বসেই পুজো সম্পন্ন করা উচিত।