কিন্তু এর মাঝখানে রয়েছে আসল সত্যি। সেটি সোনার বন্ডে বিনিয়োগ। এ ধরনের বিনিয়োগ পোর্টফোলিওতে বৈচিত্র্য নিয়ে আসে। তবে সেটা লাভজনক হবে কিনা তা নির্ভর করে বিনিয়োগের উদ্দেশ্য, মেয়াদ এবং বিনিয়োগ কৌশলের উপর।
আরও পড়ুন: ব্যবসা করতে চান! রইল কম পুঁজিতে ছোট ব্যবসা শুরু করার চমকদার কিছু আইডিয়া
সোনার মতো একটি নির্দিষ্ট বিনিয়োগ শ্রেণিতে অর্থ ব্যয় করা আদৌ লাভজনক কিনা এমন প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক। কারণ সোনা একটি নিষ্ক্রিয় ধাতু মাত্র। এ থেকে তো আর সুদ মেলে না। সোনায় বিভিন্ন ভাবে বিনিয়োগ করা যায়। সোনার কয়েন, বাট, অলঙ্কারের মতো ভৌত পণ্য ক্রয়ের মাধ্যমে। কিম্বা সোনার খনি বা সংশ্লীষ্ট ব্যবসায় বিনিয়োগ করা যায়। বর্তমানে ভার্চুয়াল মাধ্যমে সোনা কেনা বা রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার জারি করা সার্বভৌম সোনার বন্ডগুলিতে বিনিয়োগ করার বিকল্পও রয়েছে৷
advertisement
আধুনিক অর্থনীতি এবং সোনা:
বিশ্ব অর্থনীতিতে সোনার মুদ্রার চল নেই। তবু আজকের সংস্কৃতিতে এর মূল্য ফুরিয়ে যায়নি। বরং বিশ্ব অর্থনীতির নিরিখে এটা এখনও যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। এই দাবির স্বপক্ষে শুধুমাত্র কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক এবং আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল-সহ বিভিন্ন সংস্থার আর্থিক বিবরণী দেখলেই হবে। এই সংস্থাগুলি চালু সোনার প্রায় এক-পঞ্চমাংশ পরিচালনা করে। এ ছাড়াও, বেশ কয়েকটি কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক তাদের বর্তমান সোনার হোল্ডিং বাড়িয়েছে।
সোনার মালিক:
এক সময় শুধুমাত্র সোনার মুদ্রা এবং স্বর্ণালঙ্কারই ছিল মানুষের সম্পদ। কিন্তু বর্তমানে সোনায় বিনিয়োগের আরও নানা ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে। সে গুলি হল স্বর্ণ মুদ্রা, গোল্ড বুলিয়ন বা গয়না, গোল্ড ফিউচার, গোল্ড ইটিএফ, গোল্ড কোম্পানি, গোল্ড মিউচুয়াল ফান্ড, সোভরেন গোল্ড বন্ড।
আরও পড়ুন: ফিক্সড ডিপোজিটে সবচেয়ে বেশি সুদের হার দিচ্ছে কোন কোন ব্যাঙ্ক? দেখে নিন তালিকা!
সোনায় বিনিয়োগের কারণ:
মুদ্রাস্ফীতির বিরুদ্ধে লড়ে– সোনা ধারাবাহিক ভাবে শক্তিশালী মুদ্রাস্ফীতির বিরুদ্ধে লড়তে পারে বলে প্রমাণিত হয়েছে। সোনার দাম মুদ্রাস্ফীতির দ্বারা প্রভাবিত হয় না, তাই আন্তর্জাতিক বাজারে সমস্ত মুদ্রার মূল্য হ্রাস পেলেও সোনার বিনিয়োগে লোকসানের সম্ভাবনা নেই।
লিকুইডিটি– যে কোনও আর্থিক বিনিয়োগ করার ক্ষেত্রে প্রথমেই দেখা উচিৎ প্রয়োজনের সময় বা আপদকালে সেটা পাওয়া যাবে কিনা। এ ক্ষেত্রে সোনায় চোখ বন্ধ করে ভরসা করা যায়। জরুরি অবস্থায় ক্রেতার কাছে সোনা বিক্রি করলেই হল।
বাস্তব সম্পদ– রিয়েল এস্টেট বা অন্য কোনও আর্থিক ক্ষেত্রে বিনিয়োগের চেয়ে সোনায় বিনিয়োগ করা অনেক সহজ।
প্রজন্মের পর প্রজন্ম– ভারতীয় পরিবারে সোনাকে অন্য নজরে দেখা হয়। এটি পারিবারিক সম্পদের প্রতীক। যেমন সোনার গয়না উত্তরাধিকার হিসাবে এক প্রজন্ম থেকে পরবর্তী প্রজন্মের কাছে চলে যায়।
সোনায় বিনিয়োগের উপর কর:
আয়কর আইনের অধীনে সোনার সম্পদের উপর প্রদেয় করগুলি নিয়ে দ্রুত আলোচনা করা যাক। ৩০ লক্ষ টাকা বিনিয়োগের উপর ১ শতাংশ সম্পদ কর দিতে হয়। ফিজিক্যাল গোল্ড এবং সোনার ইটিএফ-এর উপর মূলধন লাভ করের হার ২০ শতাংশ।