যাঁরা শনির সাড়ে সাতি বা ঢাইয়া বা শনি দোষে ভুগছেন তাঁরা জ্যোতিষশাস্ত্রে মতে কিছু প্রতিকারের চেষ্টা করতে পারেন। এগুলি হনুমান জয়ন্তীতে পালন করতে হবে—
এই প্রতিকারে বিপদ দূর হয়:
জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, হনুমান জয়ন্তীর দিন উপবাস করা যেতে পারে। শনির মহাদশা থেকে মুক্তি পেতে লাল কাপড় পরে হনুমান মন্দিরে গিয়ে বজরঙ্গবলীর সামনে কুশের আসনে বসে জুঁই তেলের প্রদীপ জ্বালাতে হবে। ওই আসনেই ১১ বার হনুমান চালিসা পাঠ করলে শনির ঢাইয়া ও সাড়ে সাতির অশুভ প্রভাব কমে। সঙ্কট মোচন করেন ভগবান।
advertisement
শনি মহাদশা থেকে মুক্তির উপায়:
ভগবান হনুমানের খুব পছন্দের ভোগ হল ছোলা এবং বোঁদে। হনুমান জয়ন্তীতে উপবাস করে মন্দিরে গিয়ে বোঁদে ও ছোলা নিবেদন করে সুন্দরকাণ্ড পাঠ করতে হবে। তারপর সর্বত্র প্রসাদ বিতরণ করতে হবে। এতে করে বজরঙ্গবলী প্রসন্ন হন এবং শনি দোষ সংক্রান্ত সমস্যাও দূর করেন। সুস্বাস্থ্যও বজায় থাকবে।
শনি গোচরের প্রতিকার:
ভগবান হনুমানের উদ্দেশে সিঁদুর, ছোলা ও জুঁই তেল নিবেদন করলে শনির সাড়ে সাতি ও ঢাইয়ার থেকে মুক্তি মিলতে পারে। এছাড়া আটটি বট পাতা কালো সুতোয় বেঁধে তাতে সিঁদুর দিয়ে রাম-রাম লিখতে হবে। তার পর ভগবান হনুমানের কাছে নিবেদন করতে হবে। এতেও শনির সাড়ে সাতি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
শনির অশুভ প্রভাব কমবে:
শনিদেবের অশুভ অবস্থা থেকে বাঁচতে হনুমান জয়ন্তীর দিন হনুমান মন্দিরে গিয়ে জলভরা নারকেল বজরঙ্গবলীর সামনে নিজের মাথা থেকে পা পর্যন্ত সাতবার ঘুরিয়ে ভেঙে ফেলতে হবে। এর পরে ঘিয়ের প্রদীপ জ্বালিয়ে 'ওম হন হনুমতে নমঃ' মন্ত্রটি ১০৮ বার জপ করে সুন্দরকাণ্ড পাঠ করতে হবে।
আরও পড়ুন- শতভিষায় শনিদেব! এই চার রাশির জীবনে হবে সুখ ও সমৃদ্ধির বর্ষা
শনি দোষ থেকে মুক্তি:
ভগবান হনুমানকে লবঙ্গ, পানের সঙ্গে কাঠবাদাম নিবেদন করতে হবে। এরপর একটি কালো কাপড়ে অর্ধেক বাদাম বেঁধে নিয়ে ঘরের দক্ষিণ দিকে লুকিয়ে রাখতে হবে। এর পর কোনও শনি মন্দিরে পুজো দিতে হবে।
সাড়ে সাতির দোষ কাটাতে:
হনুমান জয়ন্তীতে ভগবান হনুমানের সামনে সর্ষের তেলের প্রদীপ জ্বালিয়ে তাতে দু’টি লবঙ্গ রাখতে হবে। পরে হনুমানজির আরতি এবং হনুমানাষ্টক পাঠ করতে হবে। এছাড়াও গোলাপের মালা, লাল ফুল, লাল চন্দন ইত্যাদি লাল দ্রব্য অর্পণ করা যেতে পারে।
(প্রতিবেদনের লেখা তথ্য News18 বাংলার নিজস্ব মত নয় ৷ সঠিক ফল পাওয়ার জন্য বিশেষজ্ঞের সঙ্গে যোগাযোগ করুন ৷)
