পুরাণ মতে, চৈত্র শুক্লপক্ষের পূর্ণিমা তিথিতে চিত্রা নক্ষত্রে জন্মগ্রহণ করেছিলেন ভগবান হনুমান, তিনি স্বয়ং মহাদেবের একাদশ রুদ্র অবতার। হনুমান জয়ন্তীতে হনুমান চালিসা, সুন্দরকাণ্ড পাঠ করা এবং লাল ফুল, সিঁদুর, ছোলা ইত্যাদি অর্পণ করা হয়। যে কোনও রাশির জাতক-জাতিকা এই ব্রত পালন করলে তাঁদের সৌভাগ্যের পথ সুগম হয়।
আরও পড়ুন: রাশিফল ৫ এপ্রিল; দেখে নিন কেমন যাবে আজকের দিন
advertisement
ভগবান রামের জন্মের ৬ দিন পর মহারাজ কেশরী ও দেবী অঞ্জনীর ঘরে বজরঙ্গবলী বীর হনুমানের জন্ম হয়।
হনুমান জয়ন্তীতে সিদ্ধি যোগ
জ্যোতিষী শক্তিধর শাস্ত্রী জানান, প্রতি বছর চৈত্র মাসের পূর্ণিমায় হনুমান জয়ন্তী পালিত হয়। কিংবদন্তী ও পুরাণ অনুসারে, মঙ্গলবার চিত্রা নক্ষত্রে চৈত্র পূর্ণিমা তিথিতে হনুমানের জন্ম হয়েছিল। শক্তিধর শাস্ত্রী ব্যাখ্যা করে বলেন, এবছর ৬ এপ্রিল সকালে চিত্রা নক্ষত্র থাকছে না। তবে দুপুর ১২টার পর চিত্রা নক্ষত্র উদিত হবে, যা পরের দিন পর্যন্ত থাকবে। এই কারণেই এবারের হনুমান জয়ন্তী খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই দিনে এবার তৈরি হচ্ছে সিদ্ধি যোগ। গ্রহ নক্ষত্রের শুভ অবস্থান ও শুভ যোগ তৈরি হওয়ায় এই দিনটি অবশ্যই বিশেষ ভাবে পালন করা দরকার।
আরও পড়ুন: আগামী ২ বছর শনির কৃপায় ধনবান হবেন এই রাশির জাতক জাতিকারা! কিন্তু কীভাবে?
সমস্ত রাশির জীবনে আসবে সমৃদ্ধি
শক্তিধর শাস্ত্রী জানান, হনুমান জয়ন্তী সমস্ত রাশির জাতক-জাতিকার জীবনে শুভ প্রভাব নিয়ে আসবে। ওই দিন সমস্ত রাশির জাতক-জাতিকাই হনুমান চালিসা পাঠ করতে পারেন। সেই সঙ্গে লাল ফুলের মালা, সিঁদুর, ছোলা অর্পণ করতে হবে ভগবান হনুমানের উদ্দেশে। তাহলেই জীবনে ধন, সমৃদ্ধি, গৌরব, সম্মান, উন্নতি বৃদ্ধি পাবে।
হনুমান জয়ন্তীতে হনুমান চালিসা পাঠ করলে সমস্ত রোগভোগ থেকে দূরে থাকা যায়। বজরঙ্গবলী সুখদাতা, তিনি ভক্তকে কখনওই বিমুখ করেন না।