কথিত আছে যে এই দিনে উপবাস ও বিশেষ ভাবে পূজা করলে ভগবান শিব এবং হনুমান উভয়ের আশীর্বাদ ভক্তের উপর পড়ে এবং যাঁদের ঋণ আছে তাঁরাও ঋণমুক্ত হন। উত্তরাখণ্ডের রাজধানী দেহরাদুনের বাসিন্দা পণ্ডিত যোগেশ কুকরেতি জানিয়েছেন যে, প্রতি মাসে দুটি প্রদোষ উপবাস পালন করা হয়, তবে মঙ্গলবার যে প্রদোষ উপবাস পালন করা হয় তা হল ভৌম প্রদোষ উপবাস।
advertisement
আরও পড়ুন: বিশ্বের সেরা আকর্ষণীয় পুরুষ কারা? তালিকায় এল ১০ নাম, চোখ সরানো দায়! হৃত্বিক কত নম্বর?
তিনি আরও জানিয়েছেন যে, এই দিনে কাউকে লাল জিনিস দান করা উচিত, যা অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়। যাঁরা জীবনে বেশি দুর্ঘটনার সম্মুখীন হচ্ছেন তাঁদেরও লাল জিনিস দান করা উচিত বা শিবকে লাল ফুল দিয়ে পুজো করা উচিত।
আরও পড়ুন: ফুসফুসের ফোর্থ স্টেজ ক্যানসার, কেমোথেরাপি নিয়েই জিমে সঞ্জয় দত্ত! বলিউডের ‘বাবা’ এখন কেমন আছেন?
পণ্ডিত যোগেশ কুকরেতি আরও বলেন যে, যাঁরা ঋণে জর্জরিত হয়ে রয়েছেন তাঁদের জন্যও ভৌম প্রদোষ উপবাস খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই ধরনের মানুষরা এই উপবাস পালন করতে পারেন এবং তাঁদের এই দিনে আচার অনুসারে মঙ্গল পূজা করা উচিত, এতে তাঁদের সব ঋণ শোধ হয়ে যাবে। এই দিন সন্ধ্যায় রুদ্রাভিষেক করে ভগবান শিবের পূজা করতে হবে, দুধ, দই, ঘি, চিনি ও মধু দিয়ে শিবকে আচার স্নান করাতে হবে, এতে জীবনের সমস্ত ঝামেলা দূর হবে।
শত্রুদের শান্ত করার উপায়
ভৌম প্রদোষ ব্রত সেই সমস্ত মানুষদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যাঁরা সর্বদা তাঁদের শত্রুদের ভয়ে তটস্থ থাকেন। শত্রু এবং বিরোধীদের শান্ত করার জন্য, ভৌম প্রদোষের দিনে বজরঙ্গবলীর পূজা করা উচিত। এর জন্য ভৌম প্রদোষের দিন সকালে লাল বস্ত্র পরিধান করে ভগবান হনুমানের পূজা করা উচিত।
এই দিন পুজোয় ভগবান হনুমানকে লাল ফুলের মালা এবং একটি ত্রিকোণাকার তামার টুকরো অর্পণ করতে হবে, এরপর গুড়ের নৈবেদ্য দিয়ে প্রদীপ জ্বালিয়ে পুজো করতে হবে। পুজো করার পর সঙ্কটমোচন হনুমানাষ্টক ১১ বার পাঠ করতে হবে।
