গোমেদের বিভিন্ন নাম রয়েছে যেমন, গোমেদ, গোমেদক, তপোমণি, পিগ স্ফটিক, জাটকুনিয়া, জিরকান ইত্যাদি। এটি একধরনের আকর্ষণীয় রত্ন। গোমূত্র বা কয়লার রঙযুক্ত, স্তরহীন, নরম এবং চকচকে গোমেদকে শ্রেষ্ঠ বলা হয়। এবার জেনে নেওয়া যাক গোমেদ পরার উপকারিতা ও নিয়ম সম্পর্কে।
আরও পড়ুন-পান্না ধারণে ভাগ্য খোলে! তবে কাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য, পরার নিয়মই বা কী?
advertisement
বাধাপ্রাপ্ত কাজে সচলতা আনে
যে সকল ব্যক্তিদের কোনও কাজ দীর্ঘদিন ধরে আটকে রয়েছে তাঁরা গোমেদ পরিধান করতে পারেন। ব্যবসায় হঠাৎ ক্ষতি বা কারও কাছে বন্ধক থাকা অর্থপ্রাপ্তিতেও সহায়তা করে এই রত্ন। যদি স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারস্পরিক বিকর্ষণের পরিস্থিতি থাকে এবং বিবাহ বিচ্ছেদের পরিস্থিতিও তৈরি হয় তবে গোমেদ ধারণে সম্পর্কে মধুরতা আসে। মন অস্থির থাকলে, বাড়িতে মন না বসলে বা সংসারের প্রতি বিরাগ জন্মালেও গোমেদ সমস্যার সমাধানে সহায়তা প্রদান করে।
কাল সর্প দোষ থেকে মুক্তি: শুভবুদ্ধির উদয় হয়। গোমেদ রত্ন মনের ভয় কমাতে সাহায্য করে।
রাজনীতিতে যাঁরা সফলতা অর্জন করতে চান তাঁদের জন্য গোমেদ বিশেষ সহায়ক। কাল সর্প দোষে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য গোমেদ রত্ন অত্যন্ত উপকারী বলে প্রমাণিত হয়। এটি কাল সর্প দোষের কুপ্রভাব থেকে ব্যক্তিকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। গোমেদ পরিধান করলে ব্যক্তির মনে সন্দেহের ভাব কমে এবং মনে ছাড়া যে কোনও কাজ করার জন্য শক্তি ও উৎসাহ প্রদান করে, কাজ শেখার ইচ্ছা বাড়ায় এবং আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি করে। এই পাথর পরিধান করলে একাগ্রতা বৃদ্ধি পায় এবং মন শান্ত থাকে। এই পাথর পরিধান করলে সমস্ত আটকে থাকা কাজ সম্পন্ন হবে। এমনকী জ্যোতিষীরা বলেন, চোখ ও জয়েন্টের ব্যথার সমস্যা দূর করতেও গোমেদ অত্যন্ত কার্যকরী।