ধন্বন্তরি স্তোত্রের মাহাত্ম্য -
পণ্ডিত ইন্দ্রমণি ঘনস্যালের মতে, ধনতেরসে ধন্বন্তরি স্তোত্রের অনেক গুরুত্ব রয়েছে। মা লক্ষ্মী শুধু ধন্বন্তরী স্তোত্র জপ করলেই প্রসন্ন হন না, তাঁর কৃপায় সারা বছর কখনও অর্থের অভাব হয় না। ভগবান ধন্বন্তরির জন্ম ধনতেরসে। এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে ব্যক্তি ধনতেরসের রাতে ভগবান ধন্বন্তরির পুজো করেন, তাঁর বাড়িতে অর্থের অভাব হয় না। ধনতেরসে ধন্বন্তরি স্তোত্র জপ করলে ধন-সম্পদ ও অন্নে ঘর ভরে যায়। এর ফলে ঘরে সুখ-সমৃদ্ধি থাকে এবং ঘরের নিরাপত্তা সর্বদা পূর্ণ থাকে।
advertisement
আরও পড়ুন - দীপাবলীর পরের দিনই সূর্যগ্রহণ, রাহু থেকে বাঁচতে কী করবেন, কী করবেন না জেনে নিন
ধন্বন্তরি স্তোত্র –
- ওম শঙ্খং চক্রং জলৌকাং দধদমৃতঘটং চারুদোর্ভিশ্চতুর্ভিঃ।
- সূক্ষ্মস্বচ্ছাতিহৃদ্যাংশুকঃ পরিবিলসন্মোলিমংভৌজনেত্রম।।
- কালাম্ভোদোজ্জ্বলাঙ্গং কটিতটবিলসচ্চারুপীতাম্বরাঢ্যম।
- বন্দে ধন্বন্তরিং তং নিখিলগদবনপ্রৌঢদাবাগ্রিলীলম।।
- ওম নমো ভগবতে মহাসুদর্শনায় বাসুদেবায় ধন্বন্তরায়ৈঃ।
- অমৃতকলশ হস্তায় সর্ব ভয়বিনাশায় সর্ব রোগনিবারণায়।।
- ত্রিলোকপথায় ত্রিলোকনাথায় শ্রী মহাবিষ্ণুস্বরূপ।
- শ্রী ধন্বন্তরি স্বরূপ শ্রী শ্রী শ্রী ঔষধচক্র নারায়ণায় নমঃ।।
জ্যোতিষীদের মতে, ধনতেরসের সন্ধ্যায় উত্তর দিকে পুজোর জন্য একটি পদ প্রস্তুত করতে হবে। চৌকিতে কুবের, ধন্বন্তরি এবং মা লক্ষ্মীর মূর্তি স্থাপন করে পুজো করতে হবে। ভগবান কুবেরকে সাদা মিষ্টি এবং ভগবান ধন্বন্তরিকে হলুদের তৈরি মিষ্টি নিবেদন করা দরকার। এর পরে, গণেশজি এবং মাতা লক্ষ্মীর পুজো করে আরতি করতে হবে। তারপর ধন্বন্তরি স্তোত্র পাঠ শুরু করতে হবে। সবশেষে সকল দেবতার আশীর্বাদ নিয়ে সুখ ও সমৃদ্ধি কামনা করতে হবে নিজের পরিবারের জন্য।
Disclaimer: উপরোক্ত বিষয়গুলি মানতে নিউজ ১৮ বাংলা বাধ্য বা অনুপ্রাণিত করেনা, ব্যবহারিক প্রয়োগের আগে বারেবারে ভাবনা চিন্তা করে তবেই সিদ্ধান্তে আসুন ৷
