এই সংক্রান্ত আলোচনায় আসার আগে আরেকটি কথা একটু ব্যাখ্যা না করলেই নয়। বলা তো হচ্ছে পাঁচটি অঙ্গ, কিন্তু এগুলো আসলে কী?
ভারতীয় দিনপঞ্জির এই পাঁচটি অঙ্গ হল তিথি, বার, নক্ষত্র, যোগ এবং করণ। সেই অনুসারে ২৭ মে-র কিছুটা পড়েছে ১৪৩০ বঙ্গাব্দের জ্যৈষ্ঠ মাসের শুক্লপক্ষের সপ্তমী তিথিতে, বঙ্গাব্দের তারিখ ১২ জ্যৈষ্ঠ। এই বঙ্গাব্দ গণনা করা শুরু হয়েছিল পঞ্জিকা নির্ণয়ের প্রথম এবং প্রাচীন পদ্ধতি সূর্যসিদ্ধান্ত অনুসারে, পরবর্তীকালে যাকে সংস্কার করে প্রতিষ্ঠিত হয় দৃকসিদ্ধান্ত বা বিশুদ্ধসিদ্ধান্ত মত। বাংলার জনমানসে বহুল জনপ্রিয়তার কারণে এখানে সূর্যসিদ্ধান্তসম্মত ফলাফল উল্লেখ করা হল। বার হল শনি এবং এই সপ্তমী তিথি থাকবে ২৭ মে ভোর ৫টা ৩৫ মিনিট পর্যন্ত। এর পরে শুরু হয়ে যাবে শুক্লপক্ষের অষ্টমী তিথি।
advertisement
আরও পড়ুন- নেলকাটারের সঙ্গে কেন দুটো ছোট চাকু থাকে, জানেন কী কী কাজে এগুলি ব্যবহার করতে হয়
আরও পড়ুন- দুর্দান্ত খবর! ৭.৬৫% হারে FD-তে সুদ দিচ্ছে এই ব্যাঙ্ক, জানুন বিশদে
সূর্যসিদ্ধান্ত পঞ্জিকা মতে ২৭ মে সূর্যোদয় হবে ভোর ৫টা ০৮ মিনিটে, সূর্যাস্ত হবে সন্ধ্যা ৬টা ২৩ মিনিটে। অন্য দিকে, চন্দ্রোদয় হবে ২৭ মে সকাল ১১টা ২৫ মিনিটে। চন্দ্র অস্ত যাবে ২৮ মে রাত ১২টা ৩৪ মিনিটে।
এই ১৪৩০ বঙ্গাব্দের জ্যৈষ্ঠ মাসের শুক্লপক্ষের সপ্তমী তিথির নক্ষত্র হল মঘা। ২৭ মে, রাত ৯টা ৫৮ মিনিট পর্যন্ত মঘা নক্ষত্রের অবস্থান থাকবে। এর পরে তিথিতে অবস্থান করবে পূর্বফাল্গুনী নক্ষত্র।
সূর্য অবস্থান করবেন বৃষ রাশিতে। চন্দ্র অবস্থান করবেন সিংহ রাশিতে।
শুভ মুহূর্ত-
সূর্যসিদ্ধান্ত পঞ্জিকা মতে ২৭ মে মাহেন্দ্রযোগ পড়েছে সকাল ৫টা ০৮ মিনিট – সকাল ৬টা ০১ মিনিট, সকাল ৯টা ৩৩ মিনিট – দুপুর ১২টা ১২ মিনিট কালীন সময়ে। অমৃতযোগ ২৭ মে পড়েছে দুপুর ৩টে ৪৪ মিনিট – সন্ধ্যা ৬টা ২৩ মিনিট, সন্ধ্যা ৭টা ০৬ মিনিট – সন্ধ্যা ৭টা ৪৯ মিনিট দুই সময়ে। এই মাহেন্দ্রযোগ এবং অমৃতযোগকে বাংলা পঞ্জিকার অন্যতম পুণ্যলগ্ন বলে বিবেচনা করা হয়ে থাকে। যে কোনও নতুন কাজ, শুভ কাজ শুরু করার এটি প্রকৃষ্ট সময়।
অশুভ মুহূর্ত-
সূর্যসিদ্ধান্ত পঞ্জিকা মতে ২৭ মে রাহুকাল বা কালবেলা পড়েছে সকাল ৫টা ০৮ মিনিট – সকাল ৬টা ৪৭ মিনিট, বিকেল ৪টে ৪৩ মিনিট – সন্ধ্যা ৬টা ২২ মিনিট কালীন সময়ে। এই সময়ে নতুন কোনও কাজ শুরু করাটা ঠিক হবে না।
