এই সংক্রান্ত আলোচনায় আসার আগে আরেকটি কথা একটু ব্যাখ্যা না করলেই নয়। বলা তো হচ্ছে পাঁচটি অঙ্গ, কিন্তু এগুলো আসলে কী?
আরও পড়ুন: পেনশনভোগীদের জন্য নতুন বছরে জোর ধাক্কা! জানুয়ারি থেকে কমছে টাকা
ভারতীয় দিনপঞ্জির এই পাঁচটি অঙ্গ হল তিথি, বার, নক্ষত্র, যোগ এবং করণ। সেই অনুসারে ২৮ জানুয়ারির কিছুটা পড়েছে ১৪২৯ বঙ্গাব্দের মাঘ মাসের শুক্লপক্ষের সপ্তমী তিথিতে, বঙ্গাব্দের তারিখ ১৩ মাঘ। এই বঙ্গাব্দ গণনা করা শুরু হয়েছিল পঞ্জিকা নির্ণয়ের প্রথম এবং প্রাচীন পদ্ধতি সূর্যসিদ্ধান্ত অনুসারে, পরবর্তীকালে যাকে সংস্কার করে প্রতিষ্ঠিত হয় দৃকসিদ্ধান্ত বা বিশুদ্ধসিদ্ধান্ত মত। বাংলার জনমানসে বহুল জনপ্রিয়তার কারণে এখানে সূর্যসিদ্ধান্তসম্মত ফলাফল উল্লেখ করা হল। বার হল শনি এবং এই সপ্তমী তিথি থাকবে ২৮ জানুয়ারি দুপুর ২টো ১৭ মিনিট পর্যন্ত। এর পরে শুরু হয়ে যাবে শুক্লপক্ষের অষ্টমী তিথি।
advertisement
এই ১৪২৯ বঙ্গাব্দের মাঘ মাসের শুক্লপক্ষের সপ্তমী তিথিতে উদযাপিত হবে রথ সপ্তমী ব্রত।
আরও পড়ুন: বাজেটের আগেই শেয়ার বাজারে বিরাট পতন! কেন এমন হাল, জানুন বিশদে
সূর্যসিদ্ধান্ত পঞ্জিকা মতে ২৮ জানুয়ারি সূর্যোদয় হবে ভোর ৬টা ৩২ মিনিটে, সূর্যাস্ত হবে বিকেল ৫টা ২৯ মিনিটে। অন্য দিকে, চন্দ্রোদয় হবে ২৮ জানুয়ারি সকাল ১১টা ০৪ মিনিটে। চন্দ্র অস্ত যাবে ২৯ জানুয়ারি রাত ১২টা ১৩ মিনিটে।
এই ১৪২৯ বঙ্গাব্দের মাঘ মাসের শুক্লপক্ষের সপ্তমী তিথির নক্ষত্র হল অশ্বিনী। ২৯ জানুয়ারি, রাত ১২টা ১৮ মিনিট পর্যন্ত অশ্বিনী নক্ষত্রের অবস্থান থাকবে। এর পর তিথিতে অবস্থান করবে ভরণী নক্ষত্র।
সূর্য অবস্থান করবেন মকর রাশিতে। চন্দ্র অবস্থান করবেন মেষ রাশিতে।
শুভ মুহূর্ত- সূর্যসিদ্ধান্ত পঞ্জিকা মতে ২৮ জানুয়ারি মাহেন্দ্রযোগ পড়েনি। অমৃতযোগ ২৮ জানুয়ারি পড়েছে সকাল ১০টা ১১ মিনিট- দুপুর ১টা ০৭ মিনিট, রাত ৮টা ০৬ মিনিট - রাত ১০টা ৪২ মিনিট দুই সময়ে। এই মাহেন্দ্রযোগ এবং অমৃতযোগকে বাংলা পঞ্জিকার অন্যতম পুণ্যলগ্ন বলে বিবেচনা করা হয়ে থাকে। যে কোনও নতুন কাজ, শুভ কাজ শুরু করার এটি প্রকৃষ্ট সময়।
অশুভ মুহূর্ত- সূর্যসিদ্ধান্ত পঞ্জিকা মতে ২৮ জানুয়ারি রাহুকাল বা কালবেলা পড়েছে সকাল ৬টা ৩২ মিনিট - সকাল ৭টা ৫৫ মিনিট, বিকেল ৪টে ০৭ মিনিট - সন্ধ্যা ৫টা ২৯ মিনিট কালীন সময়ে। এই সময়ে নতুন কোনও কাজ শুরু করাটা ঠিক হবে না।
