এবারের চন্দ্রগ্রহণ নিয়ে তাই সারা দেশের মানুষ কৌতূহলী, কোন কোন রাশির জাতক-জাতিকা চন্দ্রগ্রহণের দ্বারা প্রভাবিত হবেন। কাদের জীবনে আসবে শুভ পরিবর্তন, কোন কোন রাশিকে থাকতে হবে সতর্ক, তা নিয়ে চলছে আলোচনা। জেনে রাখা ভাল, এই চন্দ্রগ্রহণের গভীর প্রভাব পড়বে মেষ, বৃষ, কর্কট এবং সিংহ রাশির জাতক-জাতিকার উপর।
রেওয়ার জ্যোতিষাচার্য শিবম শুক্লার মতে, চন্দ্রগ্রহণের নেতিবাচক প্রভাব এড়াতে সবচেয়ে সহজ উপায় হল গ্রহণের দিনে ভগবান শিবের দর্শন করা এবং তাঁর পুজো করা। ভগবান শিবের দর্শনের পর দুধ দিয়ে অভিষেক করলে এই সব রাশির জাতক-জাতিকাদের উপর চন্দ্রগ্রহণের অশুভ প্রভাব কেটে যেতে পারে।
advertisement
তবে ২০২৩ সালের প্রথম এই চন্দ্রগ্রহণটি আসলে একটি পেনমব্রাল চন্দ্রগ্রহণ হবে, এর ফলে চাঁদের উপর একটি ধূসর আস্তরণের মতো গ্রহণ দেখা যাবে। ভারত থেকে দেখা যাবে না এই চন্দ্রগ্রহণ। তবে চন্দ্রগ্রহণের প্রভাব তো থাকবেই। জ্যোতিষশাস্ত্রে এই ধরনের প্রভাবের তাৎপর্য রয়েছে।
জ্যোতিষী জানিয়েছেন, ভারতীয় সময় অনুযায়ী, ৫ মে রাত ৮.৪৪ মিনিট থেকে চন্দ্রগ্রহণ শুরু হবে, যা চলবে মধ্যরাত অর্থাৎ ১.০১ মিনিট পর্যন্ত। গ্রহণের সর্বোচ্চ বিন্দু হবে রাত ১০.৫২ মিনিটে।
গ্রহণের প্রভাব কাটাতে প্রতিকার—
জ্যোতিষীর মতে, এবারের চন্দ্রগ্রহণের গভীর প্রভাব পড়বে মেষ, বৃষ, কর্কট এবং সিংহ রাশির জাতক-জাতিকার উপর। এই সময় শিব দর্শনের মধ্যে দিয়ে এই রাশির জাতক-জাতিকারা কুপ্রভাব থেকে মুক্তি পেতে পারেন। ভগবান শিবের দর্শনের পরে দুধ দিয়ে অভিষেক করলে এই রাশির জাতক-জাতিকাদের উপর প্রভাব পড়বে না। শিবের উপাসনার কারণে তাঁদের জীবনে সবকিছুই শুভ হবে।
চন্দ্রগ্রহণের দিন শুদ্ধ মনে শিবের উপাসনা করলে সকলের জীবনেই শুভ প্রভাব পড়বে।