তবে এই চন্দ্রগ্রহণের প্রভাব বেশ কিছু রাশির উপর পড়বে। এক্ষেত্রে ওই সব রাশির জাতক-জাতিকাকে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। হরিদ্বারের জ্যোতিষী পঙ্কজ শর্মার মতে, বিশাখা নক্ষত্র, চিত্রা নক্ষত্র এবং স্বাতী নক্ষত্রের জাতক-জাতিকাকে চন্দ্রগ্রহণের সময় চরম সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। আবার ৫ মে বুদ্ধ পূর্ণিমা তিথির শুভ প্রভাবে মানুষের উপকারও হবে। এই দিনে গঙ্গার ঘাটে স্নান, পূজা, দান ইত্যাদির বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে।
advertisement
কোন রাশির জন্য চন্দ্রগ্রহণ শুভ প্রভাব বয়ে আনতে চলেছে এবং কোন রাশির জাতক-জাতিকাকে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে— তা নিয়ে বিস্তারিত তথ্য দিয়েছেন জ্যোতিষী পঙ্কজ শর্মা।
তিনি জানান, ২০২৩ সালের প্রথম চন্দ্রগ্রহণ ৫ মে, সেদিন বুদ্ধ পূর্ণিমা তো রয়েছেই, সেই সঙ্গে ওই দিন কূর্ম জয়ন্তীও। বছরের প্রথম চন্দ্রগ্রহণ ভারতে দেখা যাবে না, তাই বছরের প্রথম চন্দ্রগ্রহণ গণ্য হবে উপ-ছায়া হিসেবে। একারণে ভারতে সূতক কালের নিয়ম প্রযোজ্য হবে না। কর্কট, বৃশ্চিক, মীন এবং তুলা রাশির উপর এটি বিশেষ প্রভাব ফেলবে। এই রাশির জাতক-জাতিকাদের চন্দ্রগ্রহণের দিনে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। পাশাপাশি এটি বিশাখা নক্ষত্র, স্বাতী নক্ষত্র এবং চিত্রা নক্ষত্রে জাত ব্যক্তিদের জীবনকেও প্রভাবিত করবে। ফলে এই সব নক্ষত্রে জাত ব্যক্তিদের সতর্ক থাকতে হবে।
পঙ্কজ শর্মা জানান, চন্দ্রগ্রহণের দিনে বুদ্ধ পূর্ণিমা ও কূর্ম জয়ন্তীও রয়েছে, তাই এই দিনে গঙ্গা স্নান, পূজা, পাঠ, ধ্যান, তপস্যা, পূর্বপুরুষের পারলৌকিক কাজ, তর্পণ ইত্যাদির বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। এই দিনে মেষ, বৃশ্চিক, তুলা রাশির জাতক-জাতিকাদের জন্য গঙ্গায় স্নান, পূজা-অর্চনা ইত্যাদি সবকিছুই শুভ হবে।