গ্রহণ স্পর্শের সূচনা - ৮ নভেম্বর, দুপুর ২টো ৩৯ মিনিটে
খণ্ডগ্রাসের সূচনা - দুপুর ৩টে ৪৬ মিনিটে
গ্রহণ মধ্য - বিকেল ৪টে ২৯ মিনিটে
খণ্ডগ্রাস সমাপ্তি - বিকেল ৫টা ১২ মিনিটে
গ্রহণ মোক্ষ সমাপ্তি - সন্ধে ৬টা ১৯ মিনিটে
কোন শহরে কোন সময়ে দেখা যাবে চন্দ্র গ্রহণ?
advertisement
কলকাতা - বিকেল ৪টে ৫২ মিনিট
পটনা - বিকেল ৫টা ০০ মিনিট
রায়পুর - ৫টা ২১ মিনিট
লখনউ - বিকেল ৫টা ১৬ মিনিট
সিমলা - বিকেল ৫টা ২০ মিনিট
দেহরাদুন - বিকেল ৫টা ২২ মিনিট
দিল্লি - বিকেল ৫টা ২৮ মিনিট
নয়ডা - বিকেল ৫টা ৩০ মিনিট
অমৃতসর - বিকেল ৫টা ৩২ মিনিট
লুধিয়ানা - বিকেল ৫টা ৩৪ মিনিট
জয়পুর - বিকেল ৫টা ৩৭ মিনিট
উদয়পুর - ৫টা ৪৯ মিনিট
ভোপাল - বিকেল ৫টা ৩৬ মিনিট
ইনদওর - বিকেল ৫টা ৪৩ মিনিট
গান্ধিনগর - বিকেল ৫টা ৫৫ মিনিট
মুম্বই - সন্ধে ৬টা ০১ মিনিট
এই রাশিতে চন্দ্র গ্রহণ এবং সূতক কাল: এই গ্রহণটি লাগছে মেষ রাশি এবং ভরণী নক্ষত্রে। আর ভারতের উত্তর-পূর্ব অংশ থেকে স্পষ্ট ভাবে দৃশ্যমান হবে পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ। অর্থাৎ কলকাতা, পটনা, গুয়াহাটি, অরুণাচল প্রদেশের মতো রাজ্যগুলি থেকেই দেখা যাবে এটি। এ-ছাড়াও ভারতের বাইরে ইউরোপ, এশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, বিভিন্ন মহাসাগর এবং আমেরিকার বেশির ভাগ অংশ থেকেই চন্দ্র গ্রহণ চাক্ষুষ করা যাবে। এর সূর্যোদয় অর্থাৎ ভোর ৬.৩০ মিনিটেই এর সূতক কাল হিসেবে গণ্য করা হবে।
চন্দ্র গ্রহণে যোগ: এই গ্রহণে অদ্ভুত যোগ রয়েছে। আসলে প্রায়শই চন্দ্র গ্রহণের সময় চন্দ্রের সঙ্গে থাকেন কেতু, আর রাহু থাকেন সূর্যের সঙ্গে। তবে এই গ্রহণের ক্ষেত্রে কেতু থাকবেন সূর্যের সঙ্গে এবং রাহু থাকবেন চন্দ্রের সঙ্গে। ফলে জ্যোতিষশাস্ত্র বিশারদরা এটাকে খুব একটা ভাল চোখে দেখছেন না। জ্যোতিষীদের বক্তব্য অনুযায়ী, এটা বিভিন্ন অপ্রত্যাশিত ঘটনার ইঙ্গিত দেয়। যেমন গত ৬ নভেম্বরের ঘটনার কথাই উদাহরণ হিসেবে ধরা যাক। ওই দিন একটি বিমান তানজানিয়ার একটি হ্রদে ভেঙে পড়ে, ওই দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছে ২৫ জনেরও বেশি মানুষ। কোনও গ্রহণ নিঃসন্দেহে একটি জ্যোতির্বিজ্ঞানের ঘটনা। তবে এর বৈজ্ঞানিক এবং জ্যোতিষশাস্ত্র সংক্রান্ত দিকটাও সকলেরই জানা উচিত। পৃথিবী সূর্যের থেকে আলো এবং তাপ পায়। আর চন্দ্রও আলো প্রদান করে পৃথিবীকে। যখনই এই দুইয়ের আলো পৃথিবীতে পৌঁছয় না, তখনই পৃথিবীর তাপমাত্রা প্রভাবিত হয়। ফলে ভাইরাস এবং সংক্রমণ সক্রিয় হয়ে উঠতে শুরু করে। ওই সময়কালের মধ্যেই গাছপালা থেকে শুরু করে মানুষ এবং পশু-পাখি অর্থাৎ গোটা জীবজগতই ভাইরাসের প্রকোপে পড়তে পারে। আর ভাইরাস অথবা সংক্রমণ স্থায়ী হয়। জ্যোতিষশাস্ত্র মতে, গ্রহণের ফলের প্রভাব প্রায় ৪১ দিন পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে।
আরও পড়ুন- বছরের শেষ চন্দ্রগ্রহণে ভাগ্যে বদল আসতে চলেছে; আপনিও কি আছেন সেই দলে? দেখে নিন রাশি মিলিয়ে
প্রতিটি রাশির উপর গ্রহণের প্রভাব: চন্দ্র গ্রহণ বিভিন্ন রাশির জাতক-জাতিকার উপর কী বা কেমন প্রভাব ফেলতে পারে, সেই বিষয়টা জানতে আগ্রহী। তাই দেখে নেওয়া যাক, কার জীবনে কেমন ছাপ ফেলতে চলেছে এই বছরের শেষ চন্দ্র গ্রহণ।
মেষ রাশি: মেষ রাশির জাতক-জাতিকাদের অধিপতি মঙ্গল দেবতা। এই রাশির জাতক-জাতিকাদের জন্য চন্দ্র গ্রহণ অশুভ বলে প্রতিপন্ন হতে চলেছে। ভয় এবং আতঙ্কের রেশ তৈরি হবে।
বৃষ রাশি: বৃষ রাশির জাতক-জাতিকাদের জন্য এই চন্দ্র গ্রহণকে শুভ বলা যাবে না। আচমকাই কোনও বড় সমস্যা অথবা আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারেন এঁরা।
মিথুন রাশি: এই রাশির জাতক-জাতিকাদের জন্য আবার শুভ ফল বয়ে আনবে এই চন্দ্র গ্রহণ। কেরিয়ার এবং কাজে বিশেষ ফল পাবেন এঁরা।
কর্কট রাশি: কর্কট রাশির জাতক-জাতিকাদের জন্যও শুভ ফল প্রদান করবে এই চন্দ্র গ্রহণ। সেই সঙ্গে এঁদের জীবনে উপচে পড়বে সুখ-সমৃদ্ধি।
সিংহ রাশি: সিংহ রাশির জাতক-জাতিকাদের মান-সম্মানে আঘাত লাগতে পারে। এমন কাজ করা চলবে না, যার জন্য ভবিষ্যতে অপমানিত হতে হয়।
কন্যা রাশি: এই রাশির জাতক-জাতিকাদের অনেক বড় কষ্টের মুখে পড়তে হতে পারে।
তুলা রাশি: পারিবারিক সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন এই রাশির জাতক-জাতিকারা।
বৃশ্চিক রাশি: এই চন্দ্র গ্রহণ সুখ এবং সমৃদ্ধি বয়ে আনবে বৃশ্চিক রাশির জাতক-জাতিকাদের জীবনে। আটকে থাকা কাজ সম্পন্ন হবে।
ধনু রাশি: এই রাশির জাতক-জাতিকাদের দুশ্চিন্তা বাড়তে চলেছে। ভবিষ্যতে অনাকাঙ্ক্ষিত সমস্যার সঙ্গে যুঝতে হতে পারে।
মকর রাশি: বছরের শেষ চন্দ্র গ্রহণ মকর রাশির জাতক-জাতিকাদের জীবনে দুঃখ-যন্ত্রণা বয়ে আনতে পারে। এই সময় ঘর থেকে না-বেরোনোই ভাল।
কুম্ভ রাশি: চন্দ্র গ্রহণের প্রভাবে এই রাশির জাতক-জাতিকাদের শ্রীলাভ এবং সৌভাগ্য লাভের যোগ রয়েছে। ধন লাভও হতে পারে।
মীন রাশি: মীন রাশির জাতক-জাতিকারা গ্রহণের জেরে আচমকা ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারেন।
দেশ এবং দুনিয়ার জন্য কী প্রভাব আনবে গ্রহণ?- চলতি বছরের শেষ সূর্য গ্রহণ হয়েছিল গত ২৫ অক্টোবর। আর ৮ নভেম্বর হতে চলেছে বছরের শেষ চন্দ্র গ্রহণ। সূর্য গ্রহণের কারণে সাধারণত ক্ষমতার পরিবর্তন এবং রাষ্ট্রপ্রধানদের ক্ষতি হতে পারে। জ্যোতিষ বিশেষজ্ঞদের ভবিষ্যদ্বাণী ছিল, সূর্য গ্রহণের ৪১ দিন আগে এবং পরে সরকার ও শাসকরা প্রভাবিত হবেন। যেমনটা দেখা গিয়েছে ইংল্যান্ডের ক্ষেত্রে। সেখানে ভারতীয় শাসক ক্ষমতায় এসেছেন। আবার পাকিস্তানে প্রাক্তন শাসক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এমনকী বর্তমান শাসকও জনরোষের মুখে পড়েছেন। আর অন্যান্য দেশেও এটা হতে পারে। যেখানে বর্তমান শাসককে অনেক প্রতিকূলতার সম্মুখীন হতে হবে। আবার ভারতের বহু রাজ্যে নির্বাচন হওয়ার কথা এই সময়ে। কেউ ক্ষমতা হারাবেন এবং কেউ আবার ক্ষমতায় আসীন হবেন। এ-ছাড়াও রয়েছে প্রাকৃতিক দুর্যোগের মতো বিষয়ও। মোরবি সেতু ভেঙে মারা গিয়েছেন ১৪০ জন। বহু জায়গায় ভূমিকম্পও হয়েছে।
তবে চন্দ্র গ্রহণের সঙ্গে বিশেষ যোগ রয়েছে জলবায়ুর। জ্যোতিষীদের ভবিষ্যদ্বাণী অনুসারে, এই বছর শীত এবং তুষারপাত বেশি হবে। আবহাওয়াতেও অপ্রত্যাশিত পরিবর্তন আসতে পারে। উপকূলীয় এলাকায় সাইক্লোন এবং সুনামির আশঙ্কা রয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, পৃথিবীর অক্ষাংশ এবং দ্রাঘিমাংশে যেখান থেকে এই গ্রহণ দৃশ্যমান, সেখানেই এর প্রভাব বেশি থাকবে। অর্থাৎ এই গ্রহণ বিশ্বের সকল অংশকে প্রভাবিত করতে পারবে না।