এই সংক্রান্ত আলোচনায় আসার আগে আরেকটি কথা একটু ব্যাখ্যা না করলেই নয়। বলা তো হচ্ছে পাঁচটি অঙ্গ, কিন্তু এগুলো আসলে কী?
ভারতীয় দিনপঞ্জির এই পাঁচটি অঙ্গ হল তিথি, বার, নক্ষত্র, যোগ এবং করণ। সেই অনুসারে ১৬ সেপ্টেম্বরের কিছুটা পড়েছে ১৪২৯ বঙ্গাব্দের ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের ষষ্ঠী তিথিতে, বঙ্গাব্দের তারিখ ৩০ ভাদ্র। এই বঙ্গাব্দ গণনা করা শুরু হয়েছিল পঞ্জিকা নির্ণয়ের প্রথম এবং প্রাচীন পদ্ধতি সূর্যসিদ্ধান্ত অনুসারে, পরবর্তীকালে যাকে সংস্কার করে প্রতিষ্ঠিত হয় দৃকসিদ্ধান্ত বা বিশুদ্ধসিদ্ধান্ত মত। বাংলার জনমানসে বহুল জনপ্রিয়তার কারণে এখানে সূর্যসিদ্ধান্তসম্মত ফলাফল উল্লেখ করা হল। বার হল শুক্র এবং এই ষষ্ঠী তিথি থাকবে ১৬ সেপ্টেম্বর দুপুর ১টা ৪১ মিনিট পর্যন্ত। এর পরে শুরু হয়ে যাবে কৃষ্ণপক্ষের সপ্তমী তিথি।
advertisement
সূর্যসিদ্ধান্ত পঞ্জিকা মতে ১৬ সেপ্টেম্বর সূর্যোদয় হবে ভোর ৫টা ৩৯ মিনিটে, সূর্যাস্ত হবে বিকাল ৫টা ৪৭ মিনিটে। অন্য দিকে, চন্দ্রোদয় হবে ১৬ সেপ্টেম্বর রাত ৯টা ৫৬ মিনিটে। চন্দ্র অস্ত যাবে ১৭ সেপ্টেম্বর সকাল ১১টা ৫৩ মিনিটে।
আরও পড়ুন: Shani Dev: পদোন্নতি না নতুন চাকরি? রাশিচক্রে শনিদেবের প্রভাবে কী ঘটতে চলেছে কর্মক্ষেত্রে
এই ১৪২৯ বঙ্গাব্দের ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের ষষ্ঠী তিথির নক্ষত্র হল কৃত্তিকা। ১৬ সেপ্টেম্বর, দুপুর ১২টা ২৭ মিনিট পর্যন্ত কৃত্তিকা নক্ষত্রের অবস্থান থাকবে। এর পরে তিথিতে অবস্থান করবে রোহিণী নক্ষত্র।
আরও পড়ুন: Rahu Gochar 2022: আগামী তিন মাস কী ভাবে যত পারেন টাকা করবেন? জেনে নিন রাহুর কৃপায়
সূর্য অবস্থান করবে সিংহ রাশিতে। চন্দ্র অবস্থান করবে বৃষ রাশিতে ১৮ সেপ্টেম্বর, রাত ১টা ৪৪ মিনিট পর্যন্ত।
শুভ মুহূর্ত- সূর্যসিদ্ধান্ত পঞ্জিকা মতে ১৬ সেপ্টেম্বর মাহেন্দ্রযোগ পড়েনি। অমৃতযোগ ১৬ সেপ্টেম্বর পড়েছে ভোর ৫টা ২৭ মিনিট - সকাল ৭টা ০৪ মিনিট, দুপুর ১২টা ৪৪ মিনিট - দুপুর ২টো ২১ মিনিট, দুপুর ৩টে ৫৮ মিনিট - বিকাল ৫টা ৩৫ মিনিট, সন্ধে ৭টা ১০ মিনিট - রাত ৮টা ৪৫ মিনিটে চার সময়ে। এই মাহেন্দ্রযোগ এবং অমৃতযোগকে বাংলা পঞ্জিকার অন্যতম পুণ্যলগ্ন বলে বিবেচনা করা হয়ে থাকে। যে কোনও নতুন কাজ, শুভ কাজ শুরু করার এটি প্রকৃষ্ট সময়।
অশুভ মুহূর্ত- সূর্যসিদ্ধান্ত পঞ্জিকা মতে ১৬ সেপ্টেম্বর রাহুকাল বা কালবেলা শুরু হচ্ছে সকাল ১০টা ০০ মিনিটে, শেষ হচ্ছে সকাল ১১টা ৩১ মিনিটে। এই সময়ে নতুন কোনও কাজ শুরু করাটা ঠিক হবে না।