এই সংক্রান্ত আলোচনায় আসার আগে আরেকটি কথা একটু ব্যাখ্যা না করলেই নয়। বলা তো হচ্ছে পাঁচটি অঙ্গ, কিন্তু এগুলো আসলে কী?
ভারতীয় দিনপঞ্জির এই পাঁচটি অঙ্গ হল তিথি, বার, নক্ষত্র, যোগ এবং করণ। সেই অনুসারে ৮ জুনের কিছুটা পড়েছে ১৪৩০ বঙ্গাব্দের জ্যৈষ্ঠ মাসের কৃষ্ণপক্ষের পঞ্চমী তিথিতে, বঙ্গাব্দের তারিখ ২৪ জ্যৈষ্ঠ।
advertisement
আরও পড়ুন- কেন রাতারাতি গ্রাম ছেড়ে গেলেন সকলে? ভয়ঙ্কর স্মৃতি আজও বহন করছে কুলধারা
এই বঙ্গাব্দ গণনা করা শুরু হয়েছিল পঞ্জিকা নির্ণয়ের প্রথম এবং প্রাচীন পদ্ধতি সূর্যসিদ্ধান্ত অনুসারে, পরবর্তীকালে যাকে সংস্কার করে প্রতিষ্ঠিত হয় দৃকসিদ্ধান্ত বা বিশুদ্ধসিদ্ধান্ত মত।
বাংলার জনমানসে বহুল জনপ্রিয়তার কারণে এখানে সূর্যসিদ্ধান্তসম্মত ফলাফল উল্লেখ করা হল। বার হল বৃহস্পতি এবং এই পঞ্চমী তিথি থাকবে ৮ জুন রাত ১০টা ৪১ মিনিট পর্যন্ত। এর পরে শুরু হয়ে যাবে কৃষ্ণপক্ষের ষষ্ঠী তিথি।
সূর্যসিদ্ধান্ত পঞ্জিকা মতে ৮ জুন সূর্যোদয় হবে ভোর ৫টা ০৭ মিনিটে, সূর্যাস্ত হবে সন্ধ্যা ৬টা ২৭ মিনিটে। অন্য দিকে, চন্দ্রোদয় হবে ৮ জুন রাত ১০টা ৫১ মিনিটে। চন্দ্র অস্ত যাবে ৯ জুন সকাল ১০টা ১১ মিনিটে।
এই ১৪৩০ বঙ্গাব্দের জ্যৈষ্ঠ মাসের কৃষ্ণপক্ষের পঞ্চমী তিথির নক্ষত্র হল শ্রবণা। ৮ জুন, রাত ১০টা ৫২ মিনিট পর্যন্ত শ্রবণা নক্ষত্রের অবস্থান থাকবে। এর পরে তিথিতে অবস্থান করবে ধনিষ্ঠা নক্ষত্র।
সূর্য অবস্থান করবেন বৃষ রাশিতে। চন্দ্র অবস্থান করবেন মকর রাশিতে।
শুভ মুহূর্ত- সূর্যসিদ্ধান্ত পঞ্জিকা মতে ৮ জুন মাহেন্দ্রযোগ পড়েছে ভোর ৫টা ০৭ মিনিট – সকাল ৬টা ০০ মিনিট, সকাল ৯টা ৩৪ মিনিট – সকাল ১১টা ২০ মিনিট কালীন সময়ে।
অমৃতযোগ ৮ জুন পড়েছে দুপুর ৩টে ৪৭ মিনিট – সন্ধ্যা ৬টা ২৭ মিনিট, সন্ধ্যা ৭টা ১০ মিনিট – রাত ৯টা ১৮ মিনিট দুই সময়ে। এই মাহেন্দ্রযোগ এবং অমৃতযোগকে বাংলা পঞ্জিকার অন্যতম পুণ্যলগ্ন বলে বিবেচনা করা হয়ে থাকে। যে কোনও নতুন কাজ, শুভ কাজ শুরু করার এটি প্রকৃষ্ট সময়।
অশুভ মুহূর্ত- সূর্যসিদ্ধান্ত পঞ্জিকা মতে ৮ জুন রাহুকাল বা কালবেলা পড়েছে দুপুর ৩টে ০৭ মিনিট – বিকেল ৪টে ৪৭ মিনিট কালীন সময়ে। এই সময়ে নতুন কোনও কাজ শুরু করাটা ঠিক হবে না।
