এই সংক্রান্ত আলোচনায় আসার আগে আরেকটি কথা একটু ব্যাখ্যা না করলেই নয়। বলা তো হচ্ছে পাঁচটি অঙ্গ, কিন্তু এগুলো আসলে কী?
ভারতীয় দিনপঞ্জির এই পাঁচটি অঙ্গ হল তিথি, বার, নক্ষত্র, যোগ এবং করণ। সেই অনুসারে ৫ জুলাইয়ের কিছুটা পড়েছে ১৪৩০ বঙ্গাব্দের আষাঢ় মাসের কৃষ্ণপক্ষের দ্বিতীয়া তিথিতে, বঙ্গাব্দের তারিখ ১৯ আষাঢ়।
advertisement
আরও পড়ুন- অলৌকিক পার্বতীকুণ্ড! সারে চর্মরোগ, স্থানীয়রা বলছেন, ‘জল ফিল্টারের থেকেও শুদ্ধ’
এই বঙ্গাব্দ গণনা করা শুরু হয়েছিল পঞ্জিকা নির্ণয়ের প্রথম এবং প্রাচীন পদ্ধতি সূর্যসিদ্ধান্ত অনুসারে, পরবর্তীকালে যাকে সংস্কার করে প্রতিষ্ঠিত হয় দৃকসিদ্ধান্ত বা বিশুদ্ধসিদ্ধান্ত মত।
বাংলার জনমানসে বহুল জনপ্রিয়তার কারণে এখানে সূর্যসিদ্ধান্তসম্মত ফলাফল উল্লেখ করা হল। বার হল বুধ এবং এই দ্বিতীয়া তিথি থাকবে ৫ জুলাই দুপুর ১২টা ৫১ মিনিট পর্যন্ত। এর পরে শুরু হয়ে যাবে কৃষ্ণপক্ষের তৃতীয়া তিথি।
সূর্যসিদ্ধান্ত পঞ্জিকা মতে ৫ জুলাই সূর্যোদয় হবে ভোর ৫টা ১২ মিনিটে, সূর্যাস্ত হবে সন্ধ্যা ৬টা ৩৩ মিনিটে। অন্য দিকে, চন্দ্রোদয় হবে ৫ জুলাই রাত ৮টা ৪৩ মিনিটে। চন্দ্র অস্ত যাবে ৬ জুলাই সকাল ৭টা ৫৮ মিনিটে।
এই ১৪৩০ বঙ্গাব্দের আষাঢ় মাসের কৃষ্ণপক্ষের দ্বিতীয়া তিথির নক্ষত্র হল উত্তরাষাঢ়া। ৫ জুলাই, সকাল ৮টা ৪৪ মিনিট পর্যন্ত উত্তরাষাঢ়া নক্ষত্রের অবস্থান থাকবে। এর পরে তিথিতে অবস্থান করবে শ্রবণা নক্ষত্র।
সূর্য অবস্থান করবেন মিথুন রাশিতে। চন্দ্র অবস্থান করবেন মকর রাশিতে।
শুভ মুহূর্ত- সূর্যসিদ্ধান্ত পঞ্জিকা মতে ৫ জুলাই মাহেন্দ্রযোগ পড়েনি। অমৃতযোগ ৫ জুলাই পড়েছে সকাল ৭টা ৫২ মিনিট – সকাল ১১টা ২৬ মিনিট, দুপুর ২টো ০৬ মিনিট – বিকেল ৫টা ৩৯ মিনিট, সন্ধ্যা ৬টা ৩৩ মিনিট – রাত ১০টা ০৬ মিনিট তিন সময়ে।
আরও পড়ুন- ১০ সেকেন্ডে ছবি থেকে খুঁজে বার করে পারবেন সাদা ডিম? তাহলে আপনি বুদ্ধিমান
এই মাহেন্দ্রযোগ এবং অমৃতযোগকে বাংলা পঞ্জিকার অন্যতম পুণ্যলগ্ন বলে বিবেচনা করা হয়ে থাকে। যে কোনও নতুন কাজ, শুভ কাজ শুরু করার এটি প্রকৃষ্ট সময়।
অশুভ মুহূর্ত- সূর্যসিদ্ধান্ত পঞ্জিকা মতে ৫ জুলাই রাহুকাল বা কালবেলা পড়েছে সকাল ৮টা ৩২ মিনিট – সকাল ১০টা ১২ মিনিট কালীন সময়ে। এই সময়ে নতুন কোনও কাজ শুরু করাটা ঠিক হবে না।