এই সংক্রান্ত আলোচনায় আসার আগে আরেকটি কথা একটু ব্যাখ্যা না করলেই নয়। বলা তো হচ্ছে পাঁচটি অঙ্গ, কিন্তু এগুলো আসলে কী?
ভারতীয় দিনপঞ্জির এই পাঁচটি অঙ্গ হল তিথি, বার, নক্ষত্র, যোগ এবং করণ। সেই অনুসারে ২২ নভেম্বরের কিছুটা পড়েছে ১৪২৯ বঙ্গাব্দের অগ্রহায়ণ মাসের কৃষ্ণপক্ষের ত্রয়োদশী তিথিতে, বঙ্গাব্দের তারিখ ৫ অগ্রহায়ণ। এই বঙ্গাব্দ গণনা করা শুরু হয়েছিল পঞ্জিকা নির্ণয়ের প্রথম এবং প্রাচীন পদ্ধতি সূর্যসিদ্ধান্ত অনুসারে, পরবর্তীকালে যাকে সংস্কার করে প্রতিষ্ঠিত হয় দৃকসিদ্ধান্ত বা বিশুদ্ধসিদ্ধান্ত মত। বাংলার জনমানসে বহুল জনপ্রিয়তার কারণে এখানে সূর্যসিদ্ধান্তসম্মত ফলাফল উল্লেখ করা হল। বার হল মঙ্গল এবং এই ত্রয়োদশী তিথি থাকবে ২২ নভেম্বর সকাল ৭টা ১১ মিনিট পর্যন্ত। এর পরে শুরু হয়ে যাবে কৃষ্ণপক্ষের চতুর্দশী তিথি।
advertisement
আরও পড়ুন: জানলা দিয়ে শোনা যাচ্ছে বাচ্চার কান্না, দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকতেই হাড়হিম দৃশ্য! দু'দুটি লাশ...
সূর্যসিদ্ধান্ত পঞ্জিকা মতে ২২ নভেম্বর সূর্যোদয় হবে ভোর ৬টা ০৯ মিনিটে, সূর্যাস্ত হবে বিকাল ৪টে ৫৯ মিনিটে। অন্য দিকে, চন্দ্রোদয় হবে ২২ নভেম্বর ভোর ৪টে ০৯ মিনিটে। চন্দ্র অস্ত যাবে ২২ নভেম্বর দুপুর ৩টে ৪৮ মিনিটে।
এই ১৪২৯ বঙ্গাব্দের অগ্রহায়ণ মাসের কৃষ্ণপক্ষের ত্রয়োদশী তিথির নক্ষত্র হল স্বাতী। ২২ নভেম্বর, রাত ১১টা ০৬ মিনিট পর্যন্ত স্বাতী নক্ষত্রের অবস্থান থাকবে। এর পরে তিথিতে অবস্থান করবে বিশাখা নক্ষত্র।
সূর্য অবস্থান করবে বৃশ্চিক রাশিতে। চন্দ্র অবস্থান করবে তুলা রাশিতে ২৩ নভেম্বর, বিকেল ৪টে ০৩ মিনিট পর্যন্ত।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্যসাথী নিয়ে বিরাট সিদ্ধান্ত মমতার, রেফারে সতর্ক করে উগড়ে দিলেন ক্ষোভ
শুভ মুহূর্ত- সূর্যসিদ্ধান্ত পঞ্জিকা মতে ২২ নভেম্বর মাহেন্দ্রযোগ পড়েনি। অমৃতযোগ ২২ নভেম্বর পড়েছে ভোর ৬টা ০৯ মিনিট - ভোর ৬টা ৫২ মিনিট, সকাল ৭টা ৩৬ মিনিট - সকাল ১১টা ১২ মিনিট, সন্ধে ৭টা ৩৭ মিনিট - রাত ৮টা ৩০ মিনিটে তিন সময়ে। এই মাহেন্দ্রযোগ এবং অমৃতযোগকে বাংলা পঞ্জিকার অন্যতম পুণ্যলগ্ন বলে বিবেচনা করা হয়ে থাকে। যে কোনও নতুন কাজ, শুভ কাজ শুরু করার এটি প্রকৃষ্ট সময়।
অশুভ মুহূর্ত- সূর্যসিদ্ধান্ত পঞ্জিকা মতে ২২ নভেম্বর রাহুকাল বা কালবেলা শুরু হচ্ছে দুপুর ১২টা ৫৫ মিনিটে, শেষ হচ্ছে দুপুর ২টো ১৬ মিনিটে। এই সময়ে নতুন কোনও কাজ শুরু করাটা ঠিক হবে না।
