এই সংক্রান্ত আলোচনায় আসার আগে আরেকটি কথা একটু ব্যাখ্যা না করলেই নয়। বলা তো হচ্ছে পাঁচটি অঙ্গ, কিন্তু এগুলো আসলে কী?
ভারতীয় দিনপঞ্জির এই পাঁচটি অঙ্গ হল তিথি, বার, নক্ষত্র, যোগ এবং করণ। সেই অনুসারে ১৭ অক্টোবরের কিছুটা পড়েছে ১৪২৯ বঙ্গাব্দের আশ্বিন মাসের কৃষ্ণপক্ষের সপ্তমী তিথিতে, বঙ্গাব্দের তারিখ ৩০ আশ্বিন। এই বঙ্গাব্দ গণনা করা শুরু হয়েছিল পঞ্জিকা নির্ণয়ের প্রথম এবং প্রাচীন পদ্ধতি সূর্যসিদ্ধান্ত অনুসারে, পরবর্তীকালে যাকে সংস্কার করে প্রতিষ্ঠিত হয় দৃকসিদ্ধান্ত বা বিশুদ্ধসিদ্ধান্ত মত। বাংলার জনমানসে বহুল জনপ্রিয়তার কারণে এখানে সূর্যসিদ্ধান্তসম্মত ফলাফল উল্লেখ করা হল। বার হল সোম এবং এই সপ্তমী তিথি থাকবে ১৭ অক্টোবর সকাল ৮টা ১১ মিনিট পর্যন্ত। এর পরে শুরু হয়ে যাবে কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথি।
advertisement
১৪২৯ বঙ্গাব্দের আশ্বিন মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে তুলা সংক্রান্তি, কালাষ্টমী এবং অহোই অষ্টমী ব্রত পালিত হবে।
সূর্যসিদ্ধান্ত পঞ্জিকা মতে ১৭ অক্টোবর সূর্যোদয় হবে ভোর ৫টা ৪৯ মিনিটে, সূর্যাস্ত হবে বিকাল ৫টা ১৮ মিনিটে। অন্য দিকে, চন্দ্রোদয় হবে ১৭ অক্টোবর রাত ১১টা ০৬ মিনিটে। চন্দ্র অস্ত যাবে ১৮ অক্টোবর দুপুর ১২টা ১৯ মিনিটে।
আরও পড়ুন- সংখ্যাতত্ত্ব কী বলছে, কেমন যাবে আপনার আজকের দিন
এই ১৪২৯ বঙ্গাব্দের আশ্বিন মাসের কৃষ্ণপক্ষের সপ্তমী তিথির নক্ষত্র হল পুনর্বসু। ১৮ অক্টোবর, ভোর ৪টে ৫৬ মিনিট পর্যন্ত পুনর্বসু নক্ষত্রের অবস্থান থাকবে। এর পরে তিথিতে অবস্থান করবে পুষ্যা নক্ষত্র।
সূর্য অবস্থান করবে কন্যা রাশিতে ১৭ অক্টোবর, সন্ধে ৭টা ২৭ মিনিট পর্যন্ত; এর পরে গমন করবে তুলা রাশিতে। চন্দ্র অবস্থান করবে মিথুন রাশিতে ১৭ অক্টোবর, রাত ১০টা ২৮ মিনিট পর্যন্ত; এর পরে গমন করবে কর্কট রাশিতে।
শুভ মুহূর্ত- সূর্যসিদ্ধান্ত পঞ্জিকা মতে ১৭ অক্টোবর মাহেন্দ্রযোগ পড়েনি। অমৃতযোগ ১৭ অক্টোবর পড়েছে ভোর ৫টা ৪৯ মিনিট - সকাল ৭টা ২১ মিনিট, সকাল ৮টা ৫৩ মিনিট - সকাল ১১টা ১০ মিনিট, সন্ধে ৭টা ৪৮ মিনিট - রাত ১১টা ০৮ মিনিটে তিন সময়ে। এই মাহেন্দ্রযোগ এবং অমৃতযোগকে বাংলা পঞ্জিকার অন্যতম পুণ্যলগ্ন বলে বিবেচনা করা হয়ে থাকে। যে কোনও নতুন কাজ, শুভ কাজ শুরু করার এটি প্রকৃষ্ট সময়।
অশুভ মুহূর্ত- সূর্যসিদ্ধান্ত পঞ্জিকা মতে ১৭ অক্টোবর রাহুকাল বা কালবেলা শুরু হচ্ছে সকাল ৭টা ১৫ মিনিটে, শেষ হচ্ছে সকাল ৮টা ৪১ মিনিটে। এই সময়ে নতুন কোনও কাজ শুরু করাটা ঠিক হবে না।