এই সংক্রান্ত আলোচনায় আসার আগে আরেকটি কথা একটু ব্যাখ্যা না করলেই নয়। বলা তো হচ্ছে পাঁচটি অঙ্গ, কিন্তু এগুলো আসলে কী?
ভারতীয় দিনপঞ্জির এই পাঁচটি অঙ্গ হল তিথি, বার, নক্ষত্র, যোগ এবং করণ। সেই অনুসারে ২৯ নভেম্বরের কিছুটা পড়েছে ১৪২৯ বঙ্গাব্দের অগ্রহায়ণ মাসের শুক্লপক্ষের ষষ্ঠী তিথিতে, বঙ্গাব্দের তারিখ ১২অগ্রহায়ণ। এই বঙ্গাব্দ গণনা করা শুরু হয়েছিল পঞ্জিকা নির্ণয়ের প্রথম এবং প্রাচীন পদ্ধতি সূর্যসিদ্ধান্ত অনুসারে, পরবর্তীকালে যাকে সংস্কার করে প্রতিষ্ঠিত হয় দৃকসিদ্ধান্ত বা বিশুদ্ধসিদ্ধান্ত মত। বাংলার জনমানসে বহুল জনপ্রিয়তার কারণে এখানে সূর্যসিদ্ধান্তসম্মত ফলাফল উল্লেখ করা হল। বার হল সোম এবং এই ষষ্ঠী তিথি থাকবে ২৯ নভেম্বর দুপুর ৩টে ৫২ মিনিট পর্যন্ত। এর পরে শুরু হয়ে যাবে শুক্লপক্ষের সপ্তমী তিথি।
advertisement
আরও পড়ুন: পুলিশ চাইলে সব পারে! ৭ মাস পর চুরি যাওয়া সম্পত্তি উদ্ধারের গল্প অবাক করা!
সূর্যসিদ্ধান্ত পঞ্জিকা মতে ২৯ নভেম্বর সূর্যোদয় হবে ভোর ৬টা ১৪ মিনিটে, সূর্যাস্ত হবে বিকাল ৪টে ৫৯ মিনিটে। অন্য দিকে, চন্দ্রোদয় হবে ২৯ নভেম্বর সকাল ১১টা ২৪ মিনিটে। চন্দ্র অস্ত যাবে ২৯ নভেম্বর রাত ১০টা ৪৩ মিনিটে।
এই ১৪২৯ বঙ্গাব্দের অগ্রহায়ণ মাসের শুক্লপক্ষের ষষ্ঠী তিথির নক্ষত্র হল শ্রবণা। ২৯ নভেম্বর, দুপুর ১টা ৫১ মিনিট পর্যন্ত শ্রবণা নক্ষত্রের অবস্থান থাকবে। এর পরে তিথিতে অবস্থান করবে ধনিষ্ঠা নক্ষত্র।
আরও পড়ুন: সস্তা ও ফ্যাশনেবল শীতের সাজে পাল্লা দিতে এই ৫টি মার্কেটে ঢুঁ মারতে ভুলবেন না
সূর্য অবস্থান করবেন বৃশ্চিক রাশিতে। চন্দ্র অবস্থান করবেন মকর রাশিতে ২৯ নভেম্বর, সন্ধে ৭টা ৫১ মিনিট পর্যন্ত, তার পরে গমন করবেন কুম্ভ রাশিতে।
শুভ মুহূর্ত- সূর্যসিদ্ধান্ত পঞ্জিকা মতে ২৯ নভেম্বর মাহেন্দ্রযোগ পড়েনি। অমৃতযোগ ২৯ নভেম্বর পড়েছে ভোর ৬টা ১৪ মিনিট - ভোর ৬টা ৫৭ মিনিট, সকাল ৭টা ৪০ মিনিট - সকাল ১১টা ১৫ মিনিট, সন্ধে ৭টা ৩৮ মিনিট - সন্ধে ৮টা ৩১ মিনিট তিন সময়ে। এই মাহেন্দ্রযোগ এবং অমৃতযোগকে বাংলা পঞ্জিকার অন্যতম পুণ্যলগ্ন বলে বিবেচনা করা হয়ে থাকে। যে কোনও নতুন কাজ, শুভ কাজ শুরু করার এটি প্রকৃষ্ট সময়।
অশুভ মুহূর্ত- সূর্যসিদ্ধান্ত পঞ্জিকা মতে ২৯ নভেম্বর রাহুকাল বা কালবেলা শুরু হচ্ছে দুপুর ১২টা ৫৭ মিনিটে, শেষ হচ্ছে দুপুর ২টো ১৭ মিনিটে। এই সময়ে নতুন কোনও কাজ শুরু করাটা ঠিক হবে না।