এই সংক্রান্ত আলোচনায় আসার আগে আরেকটি কথা একটু ব্যাখ্যা না করলেই নয়। বলা তো হচ্ছে পাঁচটি অঙ্গ, কিন্তু এগুলো আসলে কী?
ভারতীয় দিনপঞ্জির এই পাঁচটি অঙ্গ হল তিথি, বার, নক্ষত্র, যোগ এবং করণ। সেই অনুসারে ২৪ জানুয়ারির কিছুটা পড়েছে ১৪৩০ বঙ্গাব্দের মাঘ মাসের শুক্লপক্ষের চতুর্দশী তিথিতে, বঙ্গাব্দের তারিখ ৯ মাঘ।
advertisement
আরও পড়ুন- দীর্ঘদিন ধরে এক বৃদ্ধ দম্পতিকে খুঁজছিল পুলিশ; রাস্তায় মোটরবাইক থামিয়ে কী হল?
এই বঙ্গাব্দ গণনা করা শুরু হয়েছিল পঞ্জিকা নির্ণয়ের প্রথম এবং প্রাচীন পদ্ধতি সূর্যসিদ্ধান্ত অনুসারে, পরবর্তীকালে যাকে সংস্কার করে প্রতিষ্ঠিত হয় দৃকসিদ্ধান্ত বা বিশুদ্ধসিদ্ধান্ত মত।
বাংলার জনমানসে বহুল জনপ্রিয়তার কারণে এখানে সূর্যসিদ্ধান্তসম্মত ফলাফল উল্লেখ করা হল। বার হল বুধ এবং এই চতুর্দশী তিথি থাকবে ২৪ জানুয়ারি রাত ৯টা ২৮ মিনিট পর্যন্ত। এর পরে শুরু হয়ে যাবে শুক্লপক্ষের পূর্ণিমা তিথি।
সূর্যসিদ্ধান্ত পঞ্জিকা মতে ২৪ জানুয়ারি সূর্যোদয় হবে সকাল ৬টা ৩৪ মিনিটে, সূর্যাস্ত হবে বিকেল ৫টা ২৭ মিনিটে। অন্য দিকে, চন্দ্রোদয় হবে ২৪ জানুয়ারি বিকেল ৪টে ১৩ মিনিটে। চন্দ্র অস্ত যাবে ২৫ জানুয়ারি সকাল ৬টা ১৭ মিনিটে।
এই ১৪৩০ বঙ্গাব্দের মাঘ মাসের শুক্লপক্ষের চতুর্দশী তিথির নক্ষত্র হল আর্দ্রা। ২৪ জানুয়ারি, সকাল ৬টা ৪৮ মিনিট পর্যন্ত আর্দ্রা নক্ষত্রের অবস্থান থাকবে। এর পরে তিথিতে অবস্থান করবে পুনর্বসু নক্ষত্র।
সূর্য অবস্থান করবেন মকর রাশিতে। চন্দ্র অবস্থান করবেন মিথুন রাশিতে।
শুভ মুহূর্ত- সূর্যসিদ্ধান্ত পঞ্জিকা মতে ২৪ জানুয়ারি মাহেন্দ্রযোগ পড়েছে দুপুর ১টা ৪৯ মিনিট – ৩টে ১৬ মিনিট কালীন সময়ে। অমৃতযোগ ২৪ জানুয়ারি পড়েছে সকাল ৬টা ৩৪ মিনিট – সকাল ৮টা ০১ মিনিট, সকাল ১০টা ১১ মিনিট – সকাল ১১টা ৩৮ মিনিট, দুপুর ৩টে ১৬মিনিট – বিকেল ৪টে ৪৩ মিনিট, সন্ধ্যা ৬টা ১৯ মিনিট – রাত ৮টা ৫৬ মিনিট চার সময়ে।
আরও পড়ুন- ‘কালা জাদু’ করে প্রাক্তন প্রেমিকের সঙ্গে মিলনের চেষ্টা, তারপর মহিলার সঙ্গে যা হল
এই মাহেন্দ্রযোগ এবং অমৃতযোগকে বাংলা পঞ্জিকার অন্যতম পুণ্যলগ্ন বলে বিবেচনা করা হয়ে থাকে। যে কোনও নতুন কাজ, শুভ কাজ শুরু করার এটি প্রকৃষ্ট সময়।
অশুভ মুহূর্ত- সূর্যসিদ্ধান্ত পঞ্জিকা মতে ২৪ জানুয়ারি রাহুকাল বা কালবেলা পড়েছে সকাল ৯টা ১৭ মিনিট – সকাল ১০টা ৩৮ মিনিট কালীন সময়ে। এই সময়ে নতুন কোনও কাজ শুরু করাটা ঠিক হবে না।