আরও পড়ুনঃ তৈরি হচ্ছে বুধ-রাহুর সবচেয়ে অশুভ যোগ, নতুন বছরে এই ৩ রাশিকে থাকতে হবে সাবধানে
এই সংক্রান্ত আলোচনায় আসার আগে আরেকটি কথা একটু ব্যাখ্যা না করলেই নয়। বলা তো হচ্ছে পাঁচটি অঙ্গ, কিন্তু এগুলো আসলে কী?
ভারতীয় দিনপঞ্জির এই পাঁচটি অঙ্গ হল তিথি, বার, নক্ষত্র, যোগ এবং করণ। সেই অনুসারে ২৯ ডিসেম্বরের কিছুটা পড়েছে ১৪৩০ বঙ্গাব্দের পৌষ মাসের কৃষ্ণপক্ষের দ্বিতীয়া তিথিতে, বঙ্গাব্দের তারিখ ১২ পৌষ। এই বঙ্গাব্দ গণনা করা শুরু হয়েছিল পঞ্জিকা নির্ণয়ের প্রথম এবং প্রাচীন পদ্ধতি সূর্যসিদ্ধান্ত অনুসারে, পরবর্তীকালে যাকে সংস্কার করে প্রতিষ্ঠিত হয় দৃকসিদ্ধান্ত বা বিশুদ্ধসিদ্ধান্ত মত। বাংলার জনমানসে বহুল জনপ্রিয়তার কারণে এখানে সূর্যসিদ্ধান্তসম্মত ফলাফল উল্লেখ করা হল। বার হল শুক্র এবং এই দ্বিতীয়া তিথি থাকবে ২৯ ডিসেম্বর সকাল ৭টা ০১ মিনিট পর্যন্ত। এর পরে শুরু হয়ে যাবে কৃষ্ণপক্ষের তৃতীয়া তিথি।
advertisement
সূর্যসিদ্ধান্ত পঞ্জিকা মতে ২৯ ডিসেম্বর সূর্যোদয় হবে সকাল ৬টা ১৯ মিনিটে, সূর্যাস্ত হবে বিকাল ৪টে ৫৭ মিনিটে। অন্য দিকে, চন্দ্রোদয় হবে ২৯ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৭টা ০৬ মিনিটে। চন্দ্র অস্ত যাবে ৩০ ডিসেম্বর সকাল ৮টা ৫০ মিনিটে।
এই ১৪৩০ বঙ্গাব্দের পৌষ মাসের কৃষ্ণপক্ষের দ্বিতীয়া তিথির নক্ষত্র হল পুষ্যা। ৩০ ডিসেম্বর, রাত ৩টে ০৯ মিনিট পর্যন্ত পুষ্যা নক্ষত্রের অবস্থান থাকবে। এর পরে তিথিতে অবস্থান করবে অশ্লেষা নক্ষত্র।
সূর্য অবস্থান করবেন ধনু রাশিতে। চন্দ্র অবস্থান করবেন কর্কট রাশিতে।
শুভ মুহূর্ত- সূর্যসিদ্ধান্ত পঞ্জিকা মতে ২৯ ডিসেম্বর মাহেন্দ্রযোগ পড়েনি। অমৃতযোগ ২৯ ডিসেম্বর পড়েছে সকাল ৬টা ১৯ মিনিট – সকাল ৭টা ০২ মিনিট, সকাল ৭টা ৪৪ মিনিট – সকাল ৯টা ৫২ মিনিট, সকাল ১১টা ৫৯ মিনিট – দুপুর ২টো ৪৯ মিনিট, দুপুর ৩টে ৩১ মিনিট – বিকেল ৪টে ৫৬ মিনিট, বিকেল ৫টা ৫০ মিনিট – রাত ৯টা ২৪ মিনিট পাঁচ সময়ে। এই মাহেন্দ্রযোগ এবং অমৃতযোগকে বাংলা পঞ্জিকার অন্যতম পুণ্যলগ্ন বলে বিবেচনা করা হয়ে থাকে। যে কোনও নতুন কাজ, শুভ কাজ শুরু করার এটি প্রকৃষ্ট সময়।
অশুভ মুহূর্ত- সূর্যসিদ্ধান্ত পঞ্জিকা মতে ২৯ ডিসেম্বর রাহুকাল বা কালবেলা পড়েছে সকাল ১০টা ১৮ মিনিট – সকাল ১১টা ৩৮ মিনিট কালীন সময়ে। এই সময়ে নতুন কোনও কাজ শুরু করাটা ঠিক হবে না।