নামের নাম সংখ্যার পিছনে লুকিয়ে থাকা অর্থ বিশ্লেষণ করে সংশ্লিষ্ট নামধারী শিশুর চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য অনুধাবন করা সম্ভব। নাম সংখ্যা বিবেচনা করে নবজাতকের নাম রাখা হলে সে একটা মসৃণ সুন্দর জীবনযাপন করতে সক্ষম হবে।
নেম নম্বর বা নাম সংখ্যা নির্ধারণ:
নাম সংখ্যা নির্ধারণ করার জন্য পুরো নামের প্রতিটি অক্ষরের সঙ্গে যুক্ত নিউমেরিক্যাল ভ্যালুর সঙ্গে ম্যাচ করাতে হবে। এর পর প্রতিটি নম্বর যোগ করতে হবে। এতে সর্বমোট যোগফল নির্ধারিত হবে।
advertisement
আরও পড়ুন: পঞ্জিকা ২০ জুলাই: কালকের শুভ ও অশুভ সময় জেনে কাজে হাতে দিন
সেই যোগফল যদি ১-অঙ্কের সংখ্যা না হয়, তাহলে যতক্ষণ না ১-অঙ্কের সংখ্যায় আসছে, ততক্ষণ যোগ করে যেতে হবে। এই নিয়ম থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে সংখ্যা ১১ এবং সংখ্যা ২২-কে। কারণ নিউমেরোলজিতে এই সংখ্যাদ্বয়কে মাস্টার নম্বর বলে গণ্য করা হয়।
বিভিন্ন সংখ্যার সঙ্গে যুক্ত বৈশিষ্ট্য:
মনে রাখতে হবে যে, বেবি নেম নিউমেরোলজি অনুযায়ী নবজাতকের নামের সমস্ত অক্ষর নির্দিষ্ট সংখ্যার সঙ্গে যুক্ত। সেই নিউমেরিক্যাল ভ্যালু যোগ করা হলে নাম সংখ্যা নিম্নলিখিত বৈশিষ্ট্যগুলি উপস্থাপন করে:
সংখ্যা ১: স্বাধীনতা এবং নেতৃত্বপ্রদানের সঙ্গে সম্পর্কিত এই সংখ্যা।
সংখ্যা ২: আবার সহযোগিতার প্রতীক সংখ্যা ২। এই সংখ্যা নামে থাকলে জাতক-জাতিকা যে কোনও পরিস্থিতিতে মানিয়ে নিতে পারেন।
আরও পড়ুন: প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের মেধাতালিকা প্রকাশ কবে? বড় খবর জানিয়ে দিল পর্ষদ
সংখ্যা ৩: এই সংখ্যার বৈশিষ্ট্যের মধ্যে অন্যতম হল উচ্চতর উচ্চারণ এবং সামাজিক ক্ষমতা।
সংখ্যা ৪: এই সংখ্যার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে নির্দেশ, ব্যবহারিকতা, ঋজুতা এবং কঠোর উদ্যম। এই সংখ্যার জাতক-জাতিকারা মূলত শৃঙ্খলাবদ্ধ, গুরুগম্ভীর, সৎ প্রকৃতির হন। নিজের লক্ষ্য পূরণে বদ্ধপরিকর।
সংখ্যা ৫: শিশুর নামসংখ্যা যদি ৫ হয়, তাহলে তা বুদ্ধি, প্রতিভা, উদ্যম, জীবনীশক্তির প্রতীক। এই ধরনের মানুষ স্বাধীনচেতা এবং দুঃসাহসিক প্রকৃতির হন। কঠিন পরিস্থিতি উপভোগ করেন এঁরা। তবে একঘেয়েমি একেবারেই না-পসন্দ।
