তবে, উত্তরাখণ্ডের ঋষিকেশের হিমালয়ান জেমস অ্যান্ড হ্যান্ডক্রাফটস-এর মালিক অশোক আমাদের জানিয়েছেন যে মুনস্টোন যে কেউ ধারণ করতেই পারেন। এই রত্ন মনকে শান্ত করে। ফলে, সিদ্ধান্ত গ্রহণে সুবিধা হয়। অনেক সময়েই দেখা যায় যে আমরা খুব তুচ্ছ কোনও কারণে বা অকারণেই রেগে উঠছি, মনে বাসা বাঁধছে নেতিবাচক চিন্তা। এমতাবস্থায় মুনস্টোন ধারণ করলে উপকার পাওয়া যাবে। কেন না, মন অশান্ত হয় চন্দ্রের প্রভাবে, তাঁর রত্ন এই মুনস্টোন, অতএব, তা ধারণে শুভ ফললাভ সুনিশ্চিত।
advertisement
অশোক বুঝিয়ে বলেছেন বিষয়টি। বলছেন, মুনস্টোনের প্রভাবে একজন ব্যক্তির আত্মবিশ্বাস শক্তিশালী হয় এবং তিনি অন্যের অনুভূতি ভালভাবে বুঝতে সক্ষম হন। যার কারণে তিনি প্রতিটি ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জন করেন। চন্দ্র কর্কট রাশির অধিপতি, তাই এই রাশির জাতক-জাতিকারা কোনও চিন্তা না করেই মুনস্টোন পরতে পারেন। যাঁরা শিল্পের ক্ষেত্রে সুফল চান, তাঁরাও এই রত্ন ধারণ করতে পারেন। এই রত্ন স্বভাবে লুকিয়ে থাকা সৃজনশীলতাকে বের করে আনতে সাহায্য করে।
তবে, মুনস্টোন ধারণের কিছু নিয়ম রয়েছে। এটি পেনডেন্ট আকারে পরা কখনওই উচিত নয়। এটি তৈরিতে প্রচুর সিসা ব্যবহৃত হয়, তাই দুলন্ত অবস্থায় এটি কাজে আসে না। এ কারণে মুনস্টোন সর্বদা আংটিতে বা ব্রেসলেটে ধারণ করতে হবে। ধারণের পূর্বে তা গঙ্গাজল ও গোদুগ্ধ দ্বারা ধুয়ে শুদ্ধ করতে হবে এবং অর্পণ করতে হবে দেবাদিদেব শিবকে। এর পর সাফল্যের প্রার্থনা জানিয়ে শিবের সামনে তা কনিষ্ঠায় ধারণ করা উচিত। যে কোনও পূর্ণিমা তিথি বা শুক্লপক্ষের সোমবার মুনস্টোন ধারণের পক্ষে আদর্শ বলে জানিয়েছেন অশোক।