এই সংক্রান্ত আলোচনায় আসার আগে আরেকটি কথা একটু ব্যাখ্যা না করলেই নয়। বলা তো হচ্ছে পাঁচটি অঙ্গ, কিন্তু এগুলো আসলে কী?
আরও পড়ুন: পুরো ওলটপালট! চেহারা বদলে গেল WhatsApp-এর, কী ধরনের বিশেষ সুবিধা পাবেন দেখুন
ভারতীয় দিনপঞ্জির এই পাঁচটি অঙ্গ হল তিথি, বার, নক্ষত্র, যোগ এবং করণ। সেই অনুসারে ৪ এপ্রিলের কিছুটা পড়েছে ১৪৩০ বঙ্গাব্দের চৈত্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের দশমী তিথিতে, বঙ্গাব্দের তারিখ ২১ চৈত্র। এই বঙ্গাব্দ গণনা করা শুরু হয়েছিল পঞ্জিকা নির্ণয়ের প্রথম এবং প্রাচীন পদ্ধতি সূর্যসিদ্ধান্ত অনুসারে, পরবর্তীকালে যাকে সংস্কার করে প্রতিষ্ঠিত হয় দৃকসিদ্ধান্ত বা বিশুদ্ধসিদ্ধান্ত মত। বাংলার জনমানসে বহুল জনপ্রিয়তার কারণে এখানে সূর্যসিদ্ধান্তসম্মত ফলাফল উল্লেখ করা হল। বার হল বৃহস্পতি এবং এই দশমী তিথি থাকবে ৪ এপ্রিল সকাল ১১টা ৫২ মিনিট পর্যন্ত। এর পরে শুরু হয়ে যাবে কৃষ্ণপক্ষের একাদশী তিথি।
advertisement
সূর্যসিদ্ধান্ত পঞ্জিকা মতে ৪ এপ্রিল সূর্যোদয় হবে সকাল ৫টা ৪১ মিনিটে, সূর্যাস্ত হবে সন্ধ্যা ৬টা ০১ মিনিটে। অন্য দিকে, চন্দ্রোদয় হবে ৪ এপ্রিল রাত ২টো ২২ মিনিটে। চন্দ্র অস্ত যাবে ৪ এপ্রিল দুপুর ১টা ২৭ মিনিটে।
এই ১৪৩০ বঙ্গাব্দের চৈত্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের দশমী তিথির নক্ষত্র হল শ্রবণা। ৪ এপ্রিল, দুপুর ২টো ২২ মিনিট পর্যন্ত শ্রবণা নক্ষত্রের অবস্থান থাকবে। এর পরে তিথিতে অবস্থান করবে ধনিষ্ঠা নক্ষত্র।
সূর্য অবস্থান করবেন মীন রাশিতে। চন্দ্র অবস্থান করবেন মকর রাশিতে।
শুভ মুহূর্ত- সূর্যসিদ্ধান্ত পঞ্জিকা মতে ৪ এপ্রিল মাহেন্দ্রযোগ পড়েছে ভোর ৫টা ৪১ মিনিট – সকাল ৭টা ২০ মিনিট, সকাল ১০টা ৩৭ মিনিট – দুপুর ১টা ০৫ মিনিট কালীন সময়ে। অমৃতযোগ ৪ এপ্রিল পড়েনি। এই মাহেন্দ্রযোগ এবং অমৃতযোগকে বাংলা পঞ্জিকার অন্যতম পুণ্যলগ্ন বলে বিবেচনা করা হয়ে থাকে। যে কোনও নতুন কাজ, শুভ কাজ শুরু করার এটি প্রকৃষ্ট সময়।
অশুভ মুহূর্ত- সূর্যসিদ্ধান্ত পঞ্জিকা মতে ৪ এপ্রিল রাহুকাল বা কালবেলা পড়েছে দুপুর ২টো ৫৬ মিনিট – বিকেল ৪টে ২৮ মিনিট কালীন সময়ে। এই সময়ে নতুন কোনও কাজ শুরু করাটা ঠিক হবে না।