সারা দেশের বিভিন্ন রাজ্য থেকে অভিভাবকরা তাঁদের সন্তানদের রাজস্থানের কোটা শহরে পাঠিয়ে দেন, ইঞ্জিনিয়ারিং এবং মেডিক্যাল কোচিংয়ের জন্য। লক্ষ লক্ষ পড়ুয়া প্রতি বছর কোটায় আসে এবং এখানে থেকে প্রস্তুতি নেয়। তবে কি কোটায় প্রশিক্ষণ নেওয়া প্রতিটি পড়ুয়াই ইঞ্জিনিয়ার বা ডাক্তার হয়ে যায়!
এমনটা নিশ্চিত ভাবেই নয়। সাফল্য এবং ব্যর্থতা তো দু’টি পায়ের মতো পাশাপাশি চলে। আর তার ফলেই এগিয়ে যায় জীবন। তাই এমন অনেক পড়ুয়াই থাকে, যারা শেষ পর্যন্ত জয়েন্টে নির্বাচিত হতে পারে না।
advertisement
কিন্তু ঘটনা হল, প্রত্যাশার চাপ খুব অল্প বয়স থেকেই বাচ্চাদের মধ্যে গভীর প্রভাব ফেলতে পারে। একটানা ১০ বা ১২ ঘণ্টা লেখাপড়া করলে শিশুরা মানসিক চাপ অনুভব করতে পারে। আর তার ফলে পরীক্ষা ভাল হওয়া তো দূর, বরং খারাপ হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি থাকে।
আবার মানসিক চাপে থাকা অনেক পড়ুয়া ভুল পদক্ষেপও করে ফেলে জীবনে। এই পরিস্থিতিতে কী করবেন অভিভাবকরা! পড়াশোনার সময় কী কী বিষয় মাথায় রাখতে হবে যাতে পড়ুয়ার মন অন্য দিকে না যায়! এসব বিষয় নিয়ে চিন্তিত থাকেন অভিভাবকরা।
এই সব বিষয়ের জন্য কিছু ছোটখাটো প্রতিকার রয়েছে ভারতীয় জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে। এতে ধীরে ধীরে হলেও জীবনে পরিবর্তন আসতে পারে।
জ্যোতিষী প্রতীক্ষা জানান, এমন কিছু ছোট ছোট প্রতিকার রয়েছে যা শিশু এবং তার অভিভাবক— উভয়ই করতে পারে। তাতে ভাল ফল মিলবে। যেমন—
শিশুর পড়ার ঘরের টেবিলটি রাখা প্রয়োজন উত্তর-পূর্ব দিকে। শিশুর একাগ্রতা জোরদার করতে ওই টেবিলে এক গ্লাস জল রাখতে হবে। মনে রাখতে হবে পড়াশোনার টেবিলের সামনে কোনও ধরনের ছবি বা টিভি রাখা উচিত নয়।
প্রতীক্ষা জানান, শিশুর ঘর সম্পূর্ণ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে। যেখানে সেখানে বইপত্র, জামা-কাপড় বা খেলনা ছড়িয়ে রাখা উচিত নয়।
এর বাইরে শিশুর স্নায়ুতন্ত্র সজীব রাখতে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে ৩-৪ টি তুলসি পাতা খাওয়ানো যেতে পারে। এতে করে স্নায়ুতন্ত্র মজবুত হবে, পড়াশোনায় মনোযোগ বজায় থাকবে। পাশাপাশি কোনও শিক্ষার্থীর খুব সকালে স্নান করে সূর্যকে জল নিবেদন করা উচিত। এতে ইতিবাচক শক্তি শরীরে প্রবেশ করে এবং সারা দিন ইতিবাচক ভাবে কাটে।