শরীর থেকে সঙ্কেত নাকি মহাবিশ্ব থেকে সঙ্কেত?
যখন নখের চারপাশের ত্বক বারবার ফাটতে শুরু করে, তখন এটিকে কেবল ত্বকের সমস্যা বলে মনে করা ঠিক নয়। আয়ুর্বেদ এবং জ্যোতিষশাস্ত্র উভয়ই এটিকে শরীর এবং মনের ভারসাম্যের সঙ্গে সম্পর্কিত করে। বিশ্বাস করা হয় যে যখন এই অংশটি ক্ষতিগ্রস্ত হতে শুরু করে, তখন এটি জীবনে কোনও না কোনওভাবে সম্পদ বা সম্মানের ক্ষতির সতর্ক করে।
advertisement
কেন মানুষ সাধারণত এটি উপেক্ষা করে?
অনেকেই মনে করেন এটি আবহাওয়ার প্রভাব – যেমন শীতকালে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। অনেকে আবার ধরে নেয় এটি জল বা ডিটারজেন্টের প্রতিক্রিয়া – বিশেষ করে গৃহিণীদের ক্ষেত্রে। এবং তারা মাল্টিভিটামিন গ্রহণ করে মনে করে এটি খাদ্যতালিকার ঘাটতি – কিন্তু তারা আসল কারণের দিকে মনোযোগ দেয় না।
জ্যোতিষশাস্ত্রের বিশ্বাস কী বলে?
জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, শরীরের প্রতিটি অঙ্গই কোনও না কোনও গ্রহের সঙ্গে সম্পর্কিত। নখ এবং তাদের চারপাশের ত্বক শুক্র এবং চন্দ্রের সঙ্গে সম্পর্কিত বলে বিশ্বাস করা হয়। যখন এই গ্রহগুলির অবস্থান সঠিক না থাকে বা তাদের শক্তি ব্যাহত হয়, তখন ত্বকে ফাটল, শুষ্কতা এবং জ্বালাপোড়ার মতো লক্ষণ দেখা দেয়। এর অর্থ এই নয় যে আপনার ভয় পাওয়া উচিত, বরং এটি একটি লক্ষণ যে আপনার জীবনের কিছু দিকের প্রতি মনোযোগ দেওয়া শুরু করা উচিত।
এই লক্ষণগুলি দেখলে কী করবেন?
আপনার খরচ নিয়ন্ত্রণ করুন৷ এই লক্ষণটি অর্থের ক্ষতির সঙ্গেও জড়িত। আপনার ভাবমূর্তি এবং আচরণের যত্ন নিন, কারণ মানহানিও সম্ভব। চাঁদের সঙ্গে সম্পর্কিত শক্তিকে শান্ত করার জন্য আপনি একটি রূপোর আংটি পরতে পারেন। প্রতি শুক্রবার দরিদ্রদের সাদা জিনিস দান করুন – যেমন দুধ, ভাত বা মিষ্টি।
ঘরোয়া প্রতিকার এবং সহজ প্রতিকার
নারকেল তেলে কর্পূর মিশিয়ে নখের কাছে লাগান। রাতে ঘুমানোর আগে ত্বকে অ্যালোভেরা জেল লাগান। হাত ধোয়ার পর ময়েশ্চারাইজার লাগাতে ভুলবেন না। সপ্তাহে একবার হালকা গরম জলে লেবুর রস দিয়ে হাত ভিজিয়ে রাখুন।
কখন ডাক্তার দেখানো প্রয়োজন?
যদি ত্বক ফাটা থেকে বারবার রক্তপাত শুরু হয়, পুঁজ তৈরি হতে শুরু করে বা ব্যথা তীব্র হয়, তাহলে এটি কোনও শারীরিক কারণেও হতে পারে। এমন ক্ষেত্রে, ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করা প্রয়োজন। প্রতিটি লক্ষণই গ্রহের সঙ্গে সম্পর্কিত তা নয়, তবে যদি একই ধরণের সমস্যা বারবার দেখা দেয়, তাহলে তা উপেক্ষা করা ঠিক নয়।