Local 18-এর সঙ্গে আলাপচারিতায় মহামণ্ডলেশ্বর কমল কিশোর বলেন যে, হিন্দু ধর্মে ২৭টি নক্ষত্র এবং ১২টি রাশি রয়েছে। ভগবান সূর্যকে সমস্ত নক্ষত্রের রাজা হিসাবে বিবেচনা করা হয় এবং ভগবান সূর্যের উদ্ভিদকে আকন্দ উদ্ভিদ হিসাবে বিবেচনা করা হয়। একে ভগবান শিবের উদ্ভিদও বলা হয়। মহামণ্ডলেশ্বর কমল কিশোর বলেন যে, এর ফুলগুলো ভাল ভাবে দেখলে মনে হবে যে, ভগবান গণেশ স্বয়ং সেই ফুলের মধ্যে বিরাজমান। সেই কারণে আকন্দ ফুল অত্যন্ত শ্রদ্ধার সঙ্গে গাছ থেকে তুলে ভগবান শিবকে নিবেদন করা হয়। এছাড়া আকন্দ গাছের পাতাও ভগবান শিবকে নিবেদন করা যায়। মহামণ্ডলেশ্বর কমল কিশোর বলেছেন যে, এই গাছের দুধ ব্যবহার করা উচিত নয়, কারণ এটি একটি অভিশাপ হিসাবে বিবেচিত হয় এবং শুধুমাত্র আয়ুর্বেদিক ওষুধের ক্ষেত্রেই ব্যবহৃত হয়। বাড়ির বাইরে উত্তর দিকে আকন্দ গাছ লাগানো উচিত।
advertisement
আরও পড়ুন : শনিবারে পড়েছে বিজয়া দশমী! শুভ কাজ তো নয়ই, গুরুজনদের প্রণাম কি করা যাবে? জানুন জ্যোতিষীর মত
আবার Local 18-এর সঙ্গে আলাপচারিতায় আয়ুর্বেদ চিকিৎসক হর্ষ জানান, আকন্দ গাছের বিজ্ঞান সম্মত নাম Calotropis gigantea। এটি সাধারণত শ্বাসযন্ত্রের ব্যাধি দারুণ ভাবে নিরাময় করে। যেমন – কাশি, হাঁপানি, শ্বাসযন্ত্রের রোগ ইত্যাদি। এছাড়া, বদহজম, বাত, গাঁটের ব্যথা, হার্টের অসুখ, দাঁতের ব্যথা, ক্ষত নিরাময়, মৃগীরোগ, ডায়েরিয়া এবং মানসিক রোগের চিকিৎসাতেও আয়ুর্বেদ ও কবিরাজিতে আকন্দ গাছ ব্যবহার করা হয়।