বিরোধীদের দাবি, এ সবই আসলে বিজেপির বিভেদের রাজনীতি। কখনও হাতিয়ার অসমের নাগরিকপঞ্জি। কখনও বঙ্গে রথযাত্রা কর্মসূচি। লক্ষ্য, হিন্দু ভোটকে সুসংসহত করা।
রথযাত্রা কর্মসূচির রুট-দিনক্ষণ, সমস্ত কিছু চূড়ান্ত করতে বুধবার দিল্লিতে হবে বৈঠক। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ও রাজ্যের সাধারণ সম্পাদক সুব্রত চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলোচনা করবেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ।
advertisement
আপাতত ঠিক আছে, ডিসেম্বরের মাঝামাঝি থেকে বাংলার জেলায় জেলায় ছুটতে শুরু করবে বিজেপির রথ। চলার কথা জানুয়ারি পর্যন্ত। মোট তিনটি রথ। প্রতিটি রথই, ২৯৪টি বিধানসভা কেন্দ্রের প্রতিটিতে যাবে। রথে থাকবে এলইডি স্ক্রিন। সেখানে ঢালাও করে প্রচার করা হবে মোদি সরকারের নানা প্রকল্পের কথা।
আরও পড়ুন
সোমবার পর্যন্ত মুলতুবি পঞ্চায়েত মামলার রায়
একটি রথ ছাড়ার কথা কোচবিহার থেকে। উত্তরবঙ্গের জেলাগুলি ঘুরে সেটি মুর্শিদাবাদ, নদিয়া হয়ে আসবে কলকাতায়। আরেকটি বীরভূমের তারাপীঠ থেকে যাত্রা শুরু করার কথা। বীরভূম-বাঁকুড়া-পুরুলিয়া-পশ্চিম মেদিনীপুর-ঝাড়গ্রাম-বর্ধমান হয়ে আসবে কলকাতায়। বিজেপির আরেকটি রথ ছাড়ার কথা গঙ্গাসাগর থেকে। এটি দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া-হুগলি হয়ে কলকাতায় পৌঁছবে ৷
আরও পড়ুন
Exclusive: এবার উচ্চপ্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ নিয়েও আশঙ্কা, তবে কি পিছিয়ে যাবে নিয়োগ?
প্রতিটি রথকে স্বাগত জানাতে বিভিন্ন জায়গায় থাকবে তোরণ। সভা হবে কয়েকশো। তার মধ্যে ১৫০টি বড় সভা করার পরিকল্পনা রয়েছে রাজ্য বিজেপির। তবে, সবকিছুই চূড়ান্ত হওয়ার কথা বুধবার, অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকে। বিরোধীরা কটাক্ষ করে বলছে, ২০১৯-এর লোকসভা ভোটের আগে, এটা বিজেপির সেই পুরনো রথ-রাজনীতি। রথ দেখা-কলা বেচার কৌশল। একদিকে ঘুরে ঘুরে প্রচার। তার সঙ্গে ধর্মীয় মেরুকরণের ঝড় তুলে নির্বাচনে ফায়দা তোলার চেষ্টা।
রিপোর্টার- অরূপ দত্ত