প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, দুপুর দুটো নাগাদ দু’টি মেয়ে এসে কালো রঙের প্যাকেটের বস্তা নিয়ে আসেন ৷ একজনের পরনে ছিল জিনস। আরেকটি পরে ছিল সালোয়ার-কামিজ। বস্তা দুটি নিয়ে এসে সুপারের অফিস সংলগ্ন চত্বরে ফেলে রেখে দিয়ে যায় তারা। এরপর বেশ কিছুক্ষণ সময় কেটে যায়।
এক মহিলা জানিয়েছেন, তাঁরা লক্ষ্য করেন একটি মা কুকুর ওই বস্তা দুটোর পাশে ঠায় বসে আছে। দানা বাঁধে সন্দেহ। একটু এগোতেই তাঁরা দেখতে পান, বস্তার মধ্যে থেকে উঁকি দিচ্ছে কুকুরের মুখ। এরপরই বস্তা খোলার সিদ্ধান্ত নেন হাসপাতাল চত্বরে উপস্থিত জনতা। বস্তা খুলতেই চক্ষু থ হয়ে যায় তাঁদের। বস্তার মধ্যে থেকে একে একে উদ্ধার হয় ১৬টি কুকুরছানার দেহ।
advertisement
এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এনআরএস চত্বরে। বস্তার মধ্যে থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রচুর খাবারও। মনে করা হচ্ছে, খাবারে বিষ মিশিয়েই ওই কুকুরছানাগুলিকে হত্যা করা হয়েছে। একটি কুকুরছানাকে অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। সেই অসুস্থ কুকুরছানাটির চিকিত্সা চলছে। অনেকে অভিযোগ তুলেছেন যেই প্যাকেটগুলিতে কুকুরগুলিকে মুড়িয়ে এনে ফেলা হয়েছিল, তা চিকিৎসা সংক্রান্ত কাজেই ব্যবহার করা হয় ৷ তাই এই ঘটনার পিছনে ওই মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের কেউ জড়িত কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে ৷
প্রাথমিক অনুমান, খাবারে বিষের প্রভাবে কুকুরছানাদের মৃত্যু হয়েছে। বাইরে থেকে কেউ কুকুরছানাগুলিকে মেরে হাসপাতালে চত্বরে ফেলে গিয়েছে, নাকি ভিতরেই এমন নৃশংস কাজ হয়েছে? এই প্রশ্নের উত্তর এখনও মিলছে না। রবিবার, ছুটির দিন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের শীর্ষকর্তাদের অধিকাংশই অনুপস্থিত। তাই দেখা যাচ্ছে না সিসিটিভি ফুটেজ। ফলে কে বা কারা বস্তাটি ফেলে গিয়েছিল, তা চিহ্নিত করাও এই মুহূর্তে সম্ভব হচ্ছে না।এর আগে আরজি কর হাসপাতালে বিড়াল হত্যা নিয়েও বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। হাসপাতালে বিড়ালের সংখ্যা এত ব্যাপক হারে বেড়ে গিয়েছিল যে তাদের জন্য সমস্যায় পড়তে হচ্ছিল রোগীদের। যে কোনও সময়ে, যে কোনও ওয়ার্ডে ঢুকে পড়ছিল মার্জারকূল। প্রশ্নের মুখে পড়েছিল হাসপাতালের পরিবেশ। সেখান থেকেই কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেয়, বিড়াল মেরে ফেলা হবে।