জমিদারি প্রথা চলে গেলেও রীতিনীতি মেনে পুজো চালিয়ে আসছেন পাল পরিবারের সদস্যরা।বারুইপুরের মদারাট পঞ্চায়েতের পাল বাড়ির পুজো দেখতে ভিড় জমান দূর দুরান্তের মানুষজন। রীতি-ঐতিহ্য মেনে নবমীর দিন হয় কুমারী পুজো। নবমীর দিন পরিবারের সদস্যদের কাদা মাটি খেলা এখনো চলে। গোটা পাড়া ঘোরা হয় কাদা-মাটি গায়ে মেখে।
দুর্গা দালানে প্রতিমা তৈরির শেষ প্রস্তুতি চলছে জোরকদমে। রথের দিন হয় কাঠামো পুজো। পরিবারের সদস্যরা রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছেন। পরিবারের এক সদস্য মিতুন পাল বলেন, ” যে যেখানেই থাকুক, পুজোর কয়েকদিন সবাই বাড়িতে চলে আসে। কয়েক দিন জমিয়ে একসঙ্গে চলে খাওয়া দাওয়া। বৈদিক মতে আমাদের পুজো হয়। অষ্টমী ও নবমী পুজোর সন্ধিক্ষণে সন্ধিপুজোর পাশাপাশি রীতি মেনে মালসায় ধুনো পোড়ানো হয়।” পরিবারের আর এক সদস্য অলোক পাল বলেন, ” পঞ্চমী থেকেই আমাদের পুজো শুরু হয়ে যায়। ছাগবলি হয় না, কিন্তু শস্য বলি হয়। মা দুর্গাকে ডাকের সাজে সাজানো হয়। লকার থেকে সোনার গয়না এনে পড়ানো হয় মাকে। আবার দশমীর দিন তা খুলে নেওয়া হয়। পুজোর ক’দিন সন্ধ্যায় মাকে লুচি, আলুরদম, সুজি ভোগ দেওয়া হয়। সকালে চিঁড়ে বাতাসা ভোগ দেওয়া হয়। পরিবারের বিবাহিত মহিলারা নবরাত্রি পালন করেন। এছাড়া নবমীর দিন আমাদের বাস্তুঠাকুরের উদ্দেশ্যে বিশেষ শ্রদ্ধার্ঘ নিবেদন করা হয়।” পাল পরিবারের সদস্যরা দশমীর দিন জমিদারি রীতি মেনে মা দুর্গাকে কাঁধে চাপিয়ে বিসর্জনে নিয়ে যান সদাব্রত ঘাটে।
advertisement