আপনার রোজের ব্যবহৃত এই ৭ জিনিসেই ক্যানসারের ঝুঁকি

গোটা বিশ্বে বাড়ছে ক্যানসার। ইদানীং ৫০-এর কম বয়সীদের মধ্যে ক্যানসারের প্রকোপ চিকিৎসা মহলের উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। মেডিক্যাল জার্নাল ‘দ্য ল্যানসেট’-এর তথ্য বলছে, ক্যানসার আক্রান্ত রোগীদের সংখ্যায় বিশ্বে তিন নম্বর জায়গায় রয়েছে ভারত।

সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, ফুসফুসের ক্যানসার, স্তন ক্যানসারে আক্রান্তের সংখ্যা অনেক বেশি। ক্যানসারের ঝুঁকি বেশি মহিলাদের। মহিলাদের মধ্যে ক্যানসারে আক্রান্তের হার প্রতি বছর বাড়ছে ৪ শতাংশ করে, পুরুষদের মধ্যে বাড়ছে প্রতি বছর ২.৪ শতাংশ করে।

গত ১০ বছরে মহিলাদের মধ্যে স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা জরায়ু ক্যানসারের তুলনায় বেড়েছে। ১০ বছর আগে স্তন ক্যানসারে আক্রান্তের হার ছিল ১২ শতাংশ, তা এখন প্রায় ২০ শতাংশ।

গবেষণায় দেখা গিয়েছে, সাধারণ বাড়িতেই রয়েছে এমন কিছু জিনিস যা কার্সিনোজেন অর্থাৎ ক্যানসার ছড়ায়! আপনার রোজের ব্যবহৃত এই ৭ জিনসই বাড়াচ্ছে মারণ রোগ ক্যানসারের ঝুঁকি। কোন ৬ টি জিনিস আজই বাড়ি থেকে দূর করবেন?

বাড়ি রং করার পেইন্ট– বাড়ি রং করার পেইন্টে থাকে বেনজিন, টলুইন ও ইথাইলবেঞ্জিন-এর মতো রাসায়নিক যা ক্যানসার সৃষ্টি করতে পারে। তাই বাড়িতে যতটা সম্ভব কম পেইন্ট ব্যবহার করুন। পেইন্টের কৌটো কখনও খোলা অবস্থায় রাখবেন না

প্লাস্টিকের কৌটো, বাসন, বোতল : প্লাস্টিকে ক্যানসার সৃষ্টিকারী উপাদান থাকে। ব্রেস্ট ক্যানসার অ্যাসোসিয়েশনের মতে, সব ধরনের প্লাস্টিকের কৌটি, বাসন, বোতল থেকে এমন রাসায়নিক পদার্থ নির্গত হয় যা ক্যানসার সৃষ্টি করতে পারে।

নন-স্টিক বাসন: কয়েক বছর আগে যখন নন-স্টিক বাসনপত্র বাজারে আসে, তখন দাবি করা হয়েছিল, এগুলিতে রান্না করলে কোনও ক্ষতি হয় না। কিন্তু বহু গবেষণায় প্রমাণিত, নন-স্টিক বাসন ক্যানসারের কারণ হতে পারে। নন-স্টিক বাসনের নীচে যে কোটিং করা হয়, তা ক্যানসার সৃষ্টিকারী। যখন সেই কোটিং গলতে শুরু করে, তখন তা ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়।

মোমবাতি– সবাই কমবেশি বাড়িতে মোমবাতি ব্যবহার করেন। কিন্তু সুগন্ধিযুক্ত মোমবাতি অতিরিক্ত ব্যবহার করলে বড় বিপদ। সেন্টেড মোমবাতি থেকে ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ বার হয় যা ক্যানসারের কারণ হতে পারে। সুপাশাপাশি, অ্যালার্জি ও মাথাব্যথারও কারণ হতে পারে সেন্টেড মোমবাতি।

প্রক্রিয়াজাত মাংস –সবরকম প্রক্রিয়াজাত খাবারই ক্ষতিকর। তবে, প্রক্রিয়াজাত মাংস সবচেয়ে বেশি ক্ষতিকর। এর থেকে অনেক ধরনের অসুখ হতে পারে যার মধ্যে সবচেয়ে ভয়ঙ্কর হল ক্যানসার। ঝুঁকি সবচেয়ে ভয়ানক। তাই প্রক্রিয়াজাত মাংস কখনোই খাওয়া উচিত নয়।

গর্ভনিরোধক ওষুধ – গবেষণায় দেখা গিয়েছে, গর্ভনিরোধক ‘ওরাল পিল’ ডিম্বাশয়ের ক্যান্সারের ঝুঁকি ৮০ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়ে দেয়, এটি জরায়ুমুখ ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে। কেউ যদি এই ওষুধ ৫ বছরের বেশি সময় ধরে ব্যবহার করে, তবে ঝুঁকির মাত্রা আরও বেশি হয়।

কীটনাশক– প্রায় সব বাড়িতেই পোকা মারতে কীটনাশক ব্যবহার করা হয়। এর থেকে ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ নির্গত হয় যা ক্যানসার সৃষ্টি করতে পারে।

পড়তে ক্লিক করুন