মাছের ঝোল থেকে নিরামিষ তরকারি, সবেতেই দিচ্ছেন কালোজিরে? জানেন এর ফলে শরীরে কী হচ্ছে?

বাঙালি হেঁশেলে কালোজিরের বড় কদর! আলুর তরকারি হোক কী মাছের ঝোল, কালোজিরে মাস্ট! কিন্তু রোজ কালোজিরে খেলে শরীরে কী হয় জানেন?

গবেষণা বলছে, প্রতি ১০০ গ্রাম কালিজিরের মধ্যে থাকে– ৩৪৫-৩৫০ ক্যালরি, ১৭-২১ গ্রাম প্রোটিন, ৩৫-৪০ গ্রাম ফ্যাট (চর্বি), ৪-৫ গ্রাম স্যাচুরেটেড ফ্যাট, ১৪-১৬ গ্রাম মোনোআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট, ১৮-২০ গ্রাম পলি-আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট, ০.৩-০.৫ গ্রাম ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, ৫৮-৬০% ওমেগা-৬ ফ্যাটি অ্যাসিড, ৩৮-৪২ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ৫-৭ গ্রাম আহারযোগ্য ফাইবার

ডাঃ এস কে পাণ্ডের মতে, কালোজিরে অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট এবং ফাইবারে ভরপুর, ইউরিক অ্যাসিড-ও কমায়।

জয়েন্টের ব্যথা এবং প্রদাহ কমায়– কালোজিরে প্রদাহ কমায়। যাঁরা দীর্ঘস্থায়ী জয়েন্টের ব্যথা বা আর্থ্রাইটিসে ভুগছেন, তাঁদের জন্য কালোজিরে খুব উপকারি। কালোজিরেয় থাকা প্রদাহ-বিরোধী যৌগ জয়েন্টের ফোলাভাব এবং অস্বস্তি কমায়, যা ধীরে ধীরে ব্যথানাশক বা প্রদাহ-বিরোধী ওষুধের উপর নির্ভরতা কমায়।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে– কালোজিরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এতে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট এবং ফাইটোকেমিক্যাল থাকে যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এটি শরীরকে সাধারণ সংক্রমণ এবং দীর্ঘস্থায়ী অসুস্থতা থেকে রক্ষা করে। তাই নিয়মিত কালোজিরে খাওয়া অভ্যাস করুন।

অন্ত্র ভাল রাখে– কালোজিরে হজম নিয়ন্ত্রণ করতে, ফোলাভাব কমাতে এবং অন্ত্রের মাইক্রোবায়োমকে সুষম করতে সাহায্য করে। এর প্রদাহ-বিরোধী প্রকৃতি পরিপাকতন্ত্রকে ভাল রাখে, যা ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম (IBS) এ আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য বিশেষভাবে উপকারী।

ত্বকের জন্য ভাল– কালোজিরে একজিমা এবং সোরিয়াসিসের মতো ত্বকের সমস্যায় উপকারী।

পড়তে ক্লিক করুন