ধোঁয়া ওঠা গরম ভাতের সঙ্গে এক টুকরো মাছ পেলেই হল! মাংস ফেলে বাঙালি মাছ খায়। মাছ হরেক রকমের। মিষ্টি জলের, সমুদ্রের, নদী কিংবা পুকুরের। মাছের উৎস, চর্বির পরিমাণ ও আঁশ অনুযায়ী মাছকে নানা প্রকারে ভাগ করা যায়। যেমন, রুই, কাতলা, কই, পুঁটি মিষ্টিজলের মাছ। অন্যদিকে রূপচাঁদা, লইট্টা, ভেটকি, ইলিশ নোনাজলের মাছ।
কম চর্বিযুক্ত মাছের মধ্যে রয়েছে মাগুর, টাকি, শিং। বেশি চর্বিযুক্ত মাছের মধ্যে রয়েছে পাঙাশ, চিতল, ভেটকি, ইলিশ। মাছ যে শুধু সুস্বাদু তাই নয়, মাছ শরীরের জন্য উপকারীও বটে। বিশেষ করে ‘আর মাছ’! এই মাছে কাটা খুব কম, স্বাদ জিভে লেগে থাকে। প্রোটিন ও ক্যালসিয়ামে ভরপুর আর মাছের আর কী কী উপকারিতা?
হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়: প্রোটিন এবং ক্যালসিয়ামে সমৃদ্ধ আর মাছ। এই মাছে থাকা ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।
মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়ায়: এই মাছে রয়েছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, বিশেষ করে DHA এবং EPA, যা মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়ায় এবং স্মৃতিশক্তি উন্নত করে।
হাড় ও দাঁত মজবুত করে: ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ আর মাছ হাড় ও দাঁত মজবুত করে। এই মাছের পুষ্টি উপাদান ত্বক নরম করে।
ওজন কমায়– আর মাছের প্রোটিন মেটাবলিজম উন্নত করে, ওজন কমায়।
ভিটামিন ডি এবং বি১২-এর উৎস: আর মাছ ভিটামিন বি১২ এর একটি ভাল উৎস, যা স্নায়ু এবং রক্তকণিকার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আর মাছে ভিটামিন ডি থাকে, যা ক্যালসিয়াম শোষণে সাহায্য করে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: আর মাছে থাকে ভিটামিন এবং খনিজ উপাদান যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।