Kidney Health: শরীরের কোন ৫ লক্ষণ বলে দেয় আপনার কিডনি এক্কেবারে সুস্থ? গাদাগাদা টাকার টেস্ট নয়,নিজেই বাড়িতে পরখ করে নিন
- Published by:Rukmini Mazumder
- news18 bangla
Last Updated:
কিডনি স্বাভাবিকভাবে কাজ করতে না পারলে আর রক্ত ফিল্টার করতে পারে না। ফলে শরীরে ক্রমশ টক্সিন জমা হতে থাকে। এর ফলে বাড়তে থাকে ব্লাড প্রেশার, হার্টের অসুখ আর স্ট্রোকের ঝুঁকি
কিডনি সাধারণত নীরবে কাজ করে—রক্ত পরিশোধন, দেহে তরলের ভারসাম্য রক্ষা আর দেহের ভিতরের রসায়ন সঠিক রাখাই কিডনির কাজ। হার্ট বা পাকস্থলীর মতো নয়, কিডনি সচরাচর কোনও বিপদের সংকেত স্পষ্ট করে দেয় না। তবে খুব সহজেই বোঝা যায় কিডনি ভাল আছে কী না! এর জন্য ল্যাব টেস্টই যে দরকার, এমন নয়। রোজের ছোট ছোট লক্ষণ, যা আমরা সাধারণত এড়িয়ে যায়, সেগুলিই জানান দেয়, কিডনি ভাল আছে। শরীরের কোন কোন লক্ষণ বলে দেয়, আপনার কিডনি সুস্থ?Image: News18
advertisement
সকালের শ্বাস সতেজ ও নির্মল থাকে -- দুর্গন্ধযুক্ত শ্বাস সবসময় শুধু খারাপ মুখগহ্বর পরিচর্যা বা হজমজনিত সমস্যার ফল নয়। কিডনি রক্ত থেকে ইউরিয়া-সহ নানা বর্জ্য পদার্থ ছেঁকে ফেলার গুরুত্বপূর্ণ কাজটি করে। যখন কিডনির কার্যক্ষমতা কমে যায়, তখন শরীরে টক্সিন জমতে থাকে, ফলে শ্বাসে বিশেষ করে সকালের শ্বাসে মাছের গন্ধ বা অ্যামোনিয়ার মতো গন্ধ পাওয়া যায়। যদি ঘুম থেকে উঠে মুখে শুষ্কতা না থাকে, কোনও অস্বাভাবিক স্বাদ না লাগে এবং ব্রাশ করার আগেও শ্বাসে কোনও দুর্গন্ধ না থাকে—তবে সেটি নিঃশব্দে জানিয়ে দেয়, কিডনি ঠিকমতো কাজ করছে।এই সূক্ষ্ম লক্ষণটি প্রায়শই আমাদের চোখ এড়িয়ে যায়।Image Source: Collected
advertisement
দিনভর শরীরে এনার্জি থাকে সমানভাবে-- শরীর ক্লান্ত লাগার মানে সবসময় শুধু চাপ বা ঘুমের অভাব নয়। হ্যাঁ, ঘুম অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু সুস্থ কিডনি লাল রক্তকণিকার উৎপাদনেও বড় ভূমিকা রাখে। কিডনি থেকে নিঃসৃত ইরিথ্রোপোইটিন নামের একটি হরমোন অস্থিমজ্জাকে আরও বেশি লাল রক্তকণিকা তৈরি করতে বলে। এই কণিকাগুলি শরীরের প্রতিটি কোণে অক্সিজেন পৌঁছে দেয়।দিনভর স্থির ও শরীরে স্বাভাবিক এনার্জি থাকা, দুপুরে হঠাৎ ক্লান্তি বা সন্ধ্যাবেলার ঝিমুনি অনুভব না করার মতো লক্ষণ জানান দেয় কিডনি ও হরমোনের মধ্যে এক সুস্থ ভারসাম্য বজায় আছে।Image: News18
advertisement
বাড়তি কোনও ময়েশ্চারাইজার ছাড়াই যদি ত্বক ময়েশ্চারাইজড মনে হয়--শুষ্ক ত্বকের জন্য দায়ী হতে পারে জলের ঘাটতি বা আবহাওয়ার পরিবর্তন। তবে ত্বক মূলত শরীরের অভ্যন্তরীণ জলের ভারসাম্যের প্রতিফলন। সুস্থ কিডনি দেহের তরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এবং সোডিয়াম ও পটাশিয়ামের মতো গুরুত্বপূর্ণ খনিজগুলোর সঠিক ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। এই ভারসাম্য ঠিক থাকলে ত্বক নরম, টানটান থাকে, ঘন ঘন ময়েশ্চারাইজারের ব্যবহার ছাড়াই।দিনভর যদি ত্বক—বিশেষ করে হাত ও পায়ের পেছনের অংশ খসখসে না হয়ে নরম ও মসৃণ থাকে, তাহলে বুঝতে হবে কিডনি ভাল আছে।Image: News18
advertisement
সকালে মুখ ফুলে ওঠে না –সকালে মুখের ফোলাভাব মানেই সবাই ধরে নেন ঘুমের অভাব বা অতিরিক্ত নুন খাওয়ার ফল। কিন্তু শুধু এই দুটো কারণই নয়। কিডনি সঠিকভাবে কাজ না করলেও সকালে মুখ ফুলে ওঠে। কিডনির কাজই হল শরীর থেকে অতিরিক্ত সোডিয়াম ও তরল পদার্থ বার করে দেওয়া। ঘুম থেকে উঠে চোখ বা মুখের ফোলাভাব অনেক সময় ইঙ্গিত দেয় যে শরীরে জল জমে আছে—এবং এর কারণ হতে পারে কিডনি সঠিকভাবে তরলের ভারসাম্য বজায় রাখতে পারছে না। সকালে যদি মুখ সতেজ লাগে, কোনও ফোলাভাব না থাকে, তার মানে কিডনি ভাল আছে, রাতে ঠিকঠাক পরিমাণ তরল শরীর থেকে বার করে দিয়েছে।
advertisement
পেশিতে টান বা খিঁচুনি না ধরা-- অনেক সময়ই পেশিতে টান বা খিঁচুনি হয়। এর নেপথ্যের কারণ শুধুই বেশি ব্যায়াম করা বা ভুল পসচারে ঘুমানো নয়। কিডনি সঠিকভাবে কাজ না করলেও এই লক্ষণগুলি দেখা দেয়। কিডনি শরীরের ইলেকট্রোলাইটের ভারসাম্যও নিয়ন্ত্রণ করে—বিশেষ করে ক্যালসিয়াম, সোডিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও পটাশিয়ামের মতো খনিজ। এই খনিজগুলোর ভারসাম্য বিঘ্নিত হলে পেশিতে টান, খিঁচুনি বা চোখের পাতায় অদ্ভুত টিকটিক শব্দ বা কাঁপন দেখা দিতে পারে।যদি ঘুমের সময় বা ব্যায়ামের পরও পেশি রিল্যাক্সড থাকে, পেশিতে টান বা খিঁচুনি না ধরে, তার মানে দেহে খনিজের সঠিক ভারসাম্য বজায় রয়েছে এবং কিডনি সঠিকভাবে কাজ করছে।
advertisement
advertisement
advertisement
advertisement
কিডনি স্বাভাবিকভাবে কাজ করতে না পারলে আর রক্ত ফিল্টার করতে পারে না। ফলে শরীরে ক্রমশ টক্সিন জমা হতে থাকে। এর ফলে বাড়তে থাকে ব্লাড প্রেশার, হার্টের অসুখ আর স্ট্রোকের ঝুঁকি। কিডনির অসুখের প্রাথমিক পর্যায়ে তেমন কোনও উপসর্গ ধরা পড়ে না। ফলে মানুষ বুঝতেও পারে না কিডনি বিকল হচ্ছে। যত ক্ষণে বুঝতে পারে, তত ক্ষণে পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যায়। কাজেই প্রথম থেকেই সতর্ক হন।Image: News18
