হার্ট অ্যাটাক একটি ‘মেডিক্যাল এমার্জেন্সি’, যেখানে হঠাৎ করে হৃদপিণ্ডে রক্ত সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। প্রতি বছর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৮০৫,০০০ মানুষ হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হন, যাকে চিকিৎসা পরিভাষায় বলে ‘মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কশন’। অর্থাৎ প্রতি ৪০ সেকেন্ডে একজন ব্যক্তি হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হন।
চিকিৎসকদের মতে, নিঃশব্দে আক্রমণ করে হার্ট অ্যাটাক। তবে, আমেরিকান অ্যাকাডেমি অফ ডার্মাটোলজি অ্যাসোসিয়েশন বলছে, হার্টের রোগের উপসর্গ ফুটে ওঠে ত্বকে। হার্ট অ্যাটাকের উপসর্গ দেখা যায় ত্বকেও, কোন পাঁচ লক্ষণ দেখলেই সতর্ক হবেন?
ত্বকে র্যাশের মতো ছোট ছোট ফুসকুড়ি– যদি হঠাৎ করে ত্বকে ছোট ছোট ফোস্কার মতো র্যাশ বার হয়, তবে তা হার্টের সমস্যার উপসর্গ হতে পারে। রক্তে কোলেস্টেরলের এবং ট্রাইগ্লিসারাইড বেড়ে গেলে ত্বকে ফ্যাটি অ্যাসিড জমে, ফলে এমন র্যাশ দেখা যায়।
ত্বকে হলদেটে কমলা রঙের আস্তরণ বা পিণ্ড– ত্বকের উপরে যদি হলেদেটে কমলা রঙের পাতলা মাংস পিণ্ডের মতো দেখা যায়, তবে বুঝতে হবে রক্তে কোলেস্টেরল বেড়েছে। এই আস্তরণ বা পিণ্ড মূলত দেখা যায় চোখের আশপাশে, হাতে, পায়ের নীচের অংশে। কোলেস্টেরল বাড়া মানেই হার্টে ব্লকেজের ঝুঁকি বাড়ে।
নখের গোড়া এবং নখের ভিতরের ত্বকে লালচে দাগ– নখের নীচের অংশ লালচে হয়ে ফুলে গেলে, নখের ডগা গোল হয়ে নীচের দিকে মুড়ে গেলে, তা হার্টের সংক্রমণের লক্ষণ হতে পারে। নখের ভিতরের ত্বকে লালচে অথবা বেগুনি দাগ দেখলেও চিকিৎসকের দ্বারস্থ হন।
মণির পাশে ছাইরঙা গোল দাগ– চোখের মনির পাশে ছাই রঙা গোল দাগ হার্টের অসুখের লক্ষণ
‘মেডিক্যাল নিউজ টুডে’-তে প্রকাশিত রিপোর্ট বলছে, ২০০৩ সালে একটি সমীক্ষা করা হয়েছিল। অংশ নিয়েছিলেন ৫১৫ জন এমন মহিলা, যাঁরা ‘হার্ট অ্যাটাক সারভাইভর’। তাঁদের উপর পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, হার্ট অ্যাটাকের একমাস আগে থেকে তাঁদের প্রত্যেকের শরীরে কিছু উপসর্গ দেখা দিয়েছিল
হার্ট অ্যাটাকের এক মাস আগে থেকে শরীর ৩ টে সংকেত দিতে থাকে। এরমধ্যে প্রথম সংকেত হল মারাত্মক ক্লান্তি। পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ৭১ শতাংশই হার্ট অ্যাটাকের এক মাস আগে থেকে প্রচণ্ড ক্লান্তিতে ভুগছিলেন।
দ্বিতীয় সংকেত হল ঘুম না হওয়া। পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের ৪৭.৮ শতাংশই হার্ট অ্যাটাকের এক মাস আগে থেকে অনিদ্রার সমস্যায় ভুগছিল।
তৃতীয় সংকেত হল, নিশ্বাসের কষ্ট। পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ৪২.১ শতাংশ হার্ট অ্যাটাকের এক মাস আগে থেকে শ্বাসকষ্টে ভুগছিল।