কথিত আছে, স্বামীর মঙ্গল কামনায় শাঁখা পরে থাকেন বাঙালি মহিলারা। এটা বিয়েরই একটা চিহ্ন। হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী শাঁখা ছাড়া বিয়ে অসম্পূর্ণ থেকে যায়। ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণের মতে, প্রায় পাঁচ হাজার বছর আগে মহাভারতের সময়কাল থেকে শাঁখার ব্যবহার শুরু হয়। রয়েছে বিরাট ইতিহাস। এই শাঁখা দেশ-বিদেশে পৌঁছয় বাঙালি শিল্পীদের হাত ধরে। রাজ্যেই রয়েছে শাঁখার আঁতুড়ঘর। মুর্শিদাবাদের ডোমকল, সেখানে রয়েছে বাজিতপুর গ্রাম। শাঁখার জন্য বিখ্যাত দেশে। মুর্শিদাবাদের এই গ্রামে ঘরে ঘরে তৈরি হয় হরেকরকমের নকশার শাঁখা। কলকাতা থেকে দিঘা, মালদহ, দুই দিনাজপুর, কোচবিহার জলপাইগুড়ি-সহ ত্রিপুরা ও অসমেও এখান থেকেই শাঁখা রপ্তানি হয়।
Last Updated: November 22, 2025, 17:25 IST