বনগাঁ, উত্তর ২৪ পরগনা : বনগাঁয় মরণোত্তর দেহদান ১০২ বছরের বৃদ্ধ গদাধর রায়-র। মেডিকেল সায়েন্স ছাত্র-ছাত্রীদের নিজের দেহ পরীক্ষা-নিরীক্ষার কাজে লাগানোর জন্য এই দান।
উত্তর ২৪ পরগনা বনগাঁ শহরের ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের কুড়ির মাঠ এলাকার ১০২ বছরের বাসিন্দা গদাধর রায় বয়সে সেঞ্চুরি পার করলেও মানসিকতায় বৃদ্ধ হয়নি। কারণ নিজের ইচ্ছায় মরণোত্তর দেহদান করবার অঙ্গীকার করলেন তিনি। এদিন মছলন্দপুর বিজ্ঞান ও চেতনা মঞ্চের কর্তাদের সামনে বসে নিজে হাতে স্বাক্ষর করে মরণোত্তর দেহদান করবার অঙ্গীকার করলেন তিনি। তার মৃত্যুর পরে তার দেহ নিয়ে মেডিকেল কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা ব্যবহার করুক সেটাই ইচ্ছা তার এবং আগামী প্রজন্মের সকলে দেহ দান করুক সেটা চাই তিনি দুবেলা খাবার, তিনবেলা ব্রাশ, সময়ে সময়ে কাজকর্ম, দিনে দুটো করে পেপার পড়া, মাঝেমধ্যে পাড়ার রাস্তা দিয়ে হাঁটতে যাওয়া এখনও এই ভাবেই চলেন ১০২ বছরের গদাধর বাবু। গদাধর রায় ছোট থেকেই রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। পরবর্তীতে দলিল লেখার কাজ করতেন। স্ত্রী ২০১৮ সালে মারা গিয়েছেন। তিন ছেলে তিন মেয়ের বাবা তিনি। গদাধর বাবুর ছেলে পঙ্কজ রায় দাবি করেছেন ১৯১৯ সালের আষাঢ় মাসে বাবার জন্ম। আধার কার্ড ভোটার কার্ডে সঠিক জন্ম দিন নেই। বাবার এই কাজে আমরা গর্বিত। এই কাজে অনেক আত্মীয় স্বজনের কাছে হয়তো সমালোচিত হতে পারি আমরা কিন্তু বাবার এই কাজের জন্য আমরা গর্বিত।