হ্যাঙঝাউয়ে জি-২০ বৈঠকের দ্বিতীয় দিনে নাম না করে পাকিস্তানকে ‘একঘরে’ করার দাবি জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৷ বৈঠকে তিনি বলেন, ‘ সন্ত্রাসবাদীর সংজ্ঞা সন্ত্রাসবাদী ৷ দক্ষিণ এশিয়ার একটি দেশ নিরন্তর সন্ত্রাস ছড়াচ্ছে ৷ সন্ত্রাস ছড়াচ্ছে আমাদের এলাকায় ৷ আমি আন্তর্জাতিক স্তরে আবেদন রাখছি ৷ সন্ত্রাসবাদে মদতদাতাদের একঘরে করা হোক ৷ সন্ত্রাসবাদকে বরদাস্ত করবে না ভারত’, G20 সম্মেলনে বললেন নরেন্দ্র মোদি ৷ (PIC COURTESY- PTI)
এদিন দুর্নীতি ও কালো টাকা ইস্যুতেও G20-তে সরব প্রধানমন্ত্রী ৷ হ্যাঙঝাউয়ে জি-২০ বৈঠকে তিনি জানান, ‘আর্থিক অপরাধীদের থেকে বিশ্বকে বাঁচাতে হবে ৷ দু্র্নীতি ও কালো টাকা নির্মূল করতে দৃঢ়সংকল্প হতে হবে ৷ সরকারি নীতি ও চুক্তিতে দৃঢ় পদক্ষেপ করতে হবে ৷ দুর্নীতি রোধ করতে সবাইকে একজোট হতে হবে ৷ IMF ও দেশীয় আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলির যোগ বাড়াতে হবে ৷ (PIC COURTESY- PTI)
গত তিন মাসে এই দ্বিতীয়বার মোদি ও জিংপিংয়ের সাক্ষাৎ হল। এর আগে তাসখন্দে এসসিও-র বৈঠকে দেখা হয় দু’জনের। এনএসজি-তে ভারতের সদস্যপদের দাবিতে বেজিংয়ের আপত্তি, পাক অধিকৃত কাশ্মীর দিয়ে চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডর গড়ে তোলা সহ একাধিক বিষয় নিয়ে ভারত-চিন সম্পর্কের অবনতি ঘটেছে। চিনের আপত্তিতে কান না দিয়েই ভিয়েতনামের সঙ্গে সম্পর্ক ঝালিয়ে নিতে আগ্রহী নয়াদিল্লিও। তাৎপর্যপূর্ণভাবেই ভিয়েতনাম হয়েই হ্যাঙঝাউ পাড়ি দেন প্রধানমন্ত্রী। দক্ষিণ চিন সাগরে ভিয়েতনামের সঙ্গে টানাপোড়েনের মধ্যেই নয়াদিল্লির পদক্ষেপ বেজিংয়ের অস্বস্তি বাড়িয়েছে। ফলে, মোদি-জিংপিং বৈঠকের দিকে তাকিয়ে গোটা বিশ্ব। আগামী অক্টোবরে গোয়ায় বসছে ব্রিকসের বৈঠক। তার আগে, জি-২০-র বৈঠককেই কার্যত ব্রিকসের মঞ্চ হিসেবেই দেখছে নয়াদিল্লি। বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র বিকাশ স্বরূপ টুইটারে লিখেছেন, জি-২০-তেই ইট গাঁথার কাজ শুরু হল। হ্যাঙঝাউতেই মোদি ও ওই আন্তর্জাতিক মঞ্চের চার দেশের প্রধান বৈঠক করবেন বলেও বিদেশমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে। (PIC COURTESY- PTI)