WhatsApp: একাধিক ফোনে চিরতরে বন্ধ হোয়াটসঅ্যাপ! কারন জানেন? আপনার ফোনও কি এই তালিকায়? দেখে নিন

বলা হয়েছিল আগেই, সঠিক ভাবে বললে ৫ মে, ২০২৫ তারিখে। সেই সময়ে এই আপডেট ইউজারদের তৈরি হওয়ার জন্য কিছুটা পিছিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তবে, এবার আর সময় নেই। ১ জুন, ২০২৫ থেকেই আইফোন হোক বা অ্যান্ড্রয়েড, বেশ কিছু মডেলে WhatsApp আর কাজ করবে না।

এখন আইফোনগুলোতে iOS 15.1 বা তার পরবর্তী সংস্করণ থাকা আবশ্যক। ঠিক তেমনই অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসগুলোতে অ্যান্ড্রয়েড 5.1 বা তার পরবর্তী সংস্করণ থাকা প্রয়োজন। Metaমাঝে মাঝেই এ হেন আপডেট নিয়ে আসে, যাতে WhatsApp ঠিকভাবে কাজ করতে পারে।

২০২৫ সালে যে সব স্মার্টফোন WhatsApp সাপোর্ট হারাল, তা দেখে নেওয়া যাক! আইফোনের তালিকায় রয়েছে iPhone 6, iPhone 6 Plus, iPhone 6s, iPhone 6s Plus, iPhone SE (1st Generation)। অন্য দিকে অ্যান্ড্রয়েড ফোনের তালিকায় রয়েছে Samsung Galaxy Note 3, Sony Xperia Z1, LG G2, Huawei Ascend P6, Moto G (1st Gen), Moto E (2014), Motorola Razr HD, HTC One X এবং Samsung Galaxy S3।

স্মার্টফোন এই তালিকায় থাকলে ইউজারদের কী করা উচিত? এক এক করে দেখে নেওয়া যাক!

iOS আপডেট (যদি সম্ভব হয়): যদি iPhone 6s, 6s Plus, অথবা SE (ফার্স্ট জেনারেশন) থাকে, তাহলে Settings > General > Software Update-এ নেভিগেট করে iOS 15.8.4 আপডেট করে নেওয়া উচিত। সেক্ষেত্রে ডিভাইস WhatsApp-এর সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ থাকবে।

ডিভাইস আপগ্রেড: WhatsApp ব্যবহার চালিয়ে যেতে, iOS 15.1 বা তার পরবর্তী ভার্সন, অথবা Android 5.1 বা তার পরবর্তী ভার্সন আছে এমন স্মার্টফোন কিনে নেওয়া উচিত। কম খরচে iPhone SE (সেকেন্ড বা থার্ড জেনারেশন) এবং অনেক মিড-রেঞ্জের অ্যান্ড্রয়েড ফোন পাওয়া যাবে।

অন্য মেসেজিং অ্যাপে স্যুইচ: যদি ডিভাইস আপগ্রেড করা না যায়, একই সঙ্গে নতুন ফোন কেনাও এখনই সম্ভব না হয়, তাহলে টেলিগ্রাম বা সিগন্যালের মতো অন্য মেসেজিং অ্যাপ ব্যবহার করতে হবে। এই অ্যাপগুলো এখনও উপরের ফোনগুলোকে সাপোর্ট করে, তবে WhatsApp-এর মতো এত বিশাল ইউজারবেস তাদের নেই, এটাও স্বীকার করতেই হবে।

চ্যাটের ব্যাকআপ: অ্যাক্সেস হারানোর আগে ডেটা হারানো এড়াতে WhatsApp চ্যাটের ব্যাকআপ নেওয়া দরকার। আইফোনে iCloud ব্যবহার করতে হবে; অ্যান্ড্রয়েডে Google Drive ব্যবহার করতে হবে। চ্যাট নিরাপদে সেভ করতে WhatsApp থেকে Settings > Chats > Chat Backup-এ যেতে হবে।

WhatsApp আসলে ইউজারদের নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য এই পদক্ষেপ নিচ্ছে। প্ল্যাটফর্মটি উন্নত এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন, ভিডিও কলিং এবং উন্নত ইউজার ইন্টারফেসের মতো আধুনিক ফিচার চালু করছে, যা পুরনো ভার্সন সাপোর্ট করতে পারবে না।