Scooter Showroom Profit Margin: একটি ১ লাখ টাকার স্কুটি বিক্রি করে কত লাভ করে শোরুম? জানুন আসল সত্যিটা...

আমরা যখনই একটি স্কুটি বা টু-হুইলার কেনার জন্য শোরুমে যাই, তখন আমাদের মনে এই প্রশ্নটা প্রায়ই আসে—শোরুমের মালিক আদতে কতটা লাভ করেন? ১ লাখ টাকার স্কুটি বিক্রি করে কি তারা মোটা টাকার মুনাফা পান, নাকি তাদের মার্জিন খুব সীমিত? এই প্রশ্নের সহজ ও সঠিক উত্তর জানলে আপনি অবাক হতে পারেন।

প্রথমে বোঝা জরুরি, যে শোরুমের মালিক বা ডিলার মূলত গাড়ি নির্মাতা সংস্থার কাছ থেকে নির্দিষ্ট একটি "ডিলার প্রাইস"-এ স্কুটি কিনে থাকেন। তারপর সেই স্কুটিটি নির্ধারিত এক্স-শোরুম প্রাইসে বিক্রি করা হয়, যেখানে সংস্থার তরফ থেকে ট্যাক্স, ইন্স্যুরেন্স এবং অন্যান্য চার্জ যোগ করা থাকে। এই দুই দামের মধ্যে যে পার্থক্য থাকে, সেটাই ডিলারের লাভ হয়।

ধরা যাক আপনি একটি ১,০০,০০০ টাকা মূল্যের স্কুটি কিনেছেন। সাধারণত টু-হুইলার শোরুমের প্রফিট মার্জিন হয় ৩% থেকে ৬%। অর্থাৎ এক লাখ টাকার স্কুটিতে শোরুমের লাভ হয় আনুমানিক ৩,০০০ হাজার থেকে ৬,০০০ হাজার। এই অঙ্কটি সংস্থা ও মডেলের উপর নির্ভর করে কিছুটা কম-বেশি হতে পারে।

অনেক সংস্থা আবার নির্দিষ্ট টার্গেট পূরণ করলে ডিলারদের অতিরিক্ত ইনসেন্টিভ বা বোনাসও দেয়। ফলে ডিলারের মোট আয়ের অঙ্ক কিছুটা বাড়ে। কিন্তু সব মিলিয়ে একটি স্কুটি বিক্রিতে খুব বেশি লাভ থাকে না। তাই বেশিরভাগ শোরুম অতিরিক্ত অ্যাক্সেসরিজ, ইন্স্যুরেন্স এবং ফিনান্স প্ল্যান বিক্রি করে বাড়তি লাভ করার চেষ্টা করে।

শুধু স্কুটি বিক্রি করেই নয়, বরং বিক্রির পরবর্তী সার্ভিসিং, পার্টস বিক্রি ও ওয়ারেন্টি এক্সটেনশন থেকেও শোরুমগুলো ভালো আয় করে। এছাড়া, ফিনান্সের ব্যবস্থা করে দেওয়ার মাধ্যমেও ডিলাররা কমিশন পায়। এসব থেকেই আসল আয় হয়।

এই অতিরিক্ত পরিষেবাগুলি যেমন সার্ভিসিং বা ইনস্যুরেন্স প্ল্যান, তা গ্রাহকদের প্রয়োজন হয়েই থাকে, আর শোরুম সেগুলি সরবরাহ করে লাভ করে। ফলে একবার স্কুটি বিক্রি হলে, এরপর সেই গ্রাহকের কাছ থেকেই আরও অনেকভাবে আয় হয়।

ডিলাররা অনেক সময় কিছু অতিরিক্ত চার্জ বা খরচ গ্রাহকদের উপরে চাপিয়ে দেন, যার মাধ্যমে তাদের প্রফিট বাড়ে। তাই যারা নতুন স্কুটি কিনছেন, তাদের এসব বিষয়ে সচেতন থাকা উচিত।

সবশেষে বলা যায়, ১ লাখ টাকার স্কুটি বিক্রি করে সরাসরি খুব বেশি লাভ হয় না। কিন্তু সার্ভিসিং, ইনসেন্টিভ, অ্যাক্সেসরিজ ও ফিনান্সের মাধ্যমে শোরুমের আয় অনেকটাই বাড়ানো যায়। গ্রাহকদের জন্য এটাই জানা গুরুত্বপূর্ণ, যে তারা যে বড় অঙ্ক দিচ্ছেন, তার খুব সামান্য অংশই ডিলারদের পকেটে যায়।