আপনার মোবাইল নম্বর কি ব্যান করেছে WhatsApp? চেক করে নিন এই ভাবে

অনেক সময় ব্যবহারকারীদের মোবাইল নম্বর নিষিদ্ধ বা ব্যান করে দেয় Whatsapp। আসলে তাঁরা আচমকাই দেখেন যে, আর Whatsapp ব্যবহার করতে পারছেন না। অথচ জরুরি কোনও কাজ কিংবা ব্যবসার জন্য Whatsapp ব্যবহার করাটা অপরিহার্য হয়ে পড়ে। তাহলে সেক্ষেত্রে কী করণীয়? এতে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।

শুধু Whatsapp অ্যাকাউন্ট আনব্যান করার উপায়টা জানলেই হল! তবে সেই প্রসঙ্গে যাওয়ার আগে জেনে নেওয়া যাক Whatsapp ব্যান করার কারণ।

Whatsapp অ্যাকাউন্ট কেন নিষিদ্ধ হয়েছে?

১. আনঅফিসিয়াল অ্যাপ ব্যবহার করে, ঝুঁকিপূর্ণ বিষয় আদানপ্রদান করে এবং বেআইনি কাজকর্ম করে Whatsapp-এর নিয়ম ভাঙলে নিষিদ্ধ হবে অ্যাকাউন্ট। ২. কোনও স্ক্যামে জড়িয়ে পড়লেও তা হতে পারে। আসলে অনেকেই অন্য কেউ হওয়ার ভান করেন কিংবা অন্য ব্যবহারকারীদের খারাপ বিষয়বস্তুর লিঙ্ক পাঠান।

৩. আনওয়ান্টেড অ্যাড এবং ভুয়ো মেসেজ পাঠিয়ে ব্যবহারকারীদের স্প্যাম করা। ৪. মানুষের ব্যক্তিগত তথ্য খুঁজে বার করা। ৫. বহু ব্যবহারকারী দ্বারা যদি অ্যাকাউন্ট রিপোর্টেড হয় কিংবা ব্লকড থাকে।

Whatsapp ব্যান সাধারণত দুই ধরনের হয়। যথা - টেম্পোরারি ব্যান এবং পার্মানেন্ট ব্যান। যাইহোক, এবার আসা যাক Whatsapp আনব্যান করার উপায় প্রসঙ্গে।

Whatsapp নম্বর আনব্যান করার উপায় কী?

যদি টেম্পোরারি ব্যান হয়, তাহলে অফিসিয়াল Whatsapp অ্যাপে লগ-ইন করতে হবে। তবে যদি ব্যান পার্মানেন্ট হয়, তাহলে নিম্নলিখিত উপায় অবলম্বন করা যেতে পারে:

১. Contact Support অথবা Request a Review-তে ট্যাপ করতে হবে। নিজের পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করতে হবে। নিজের স্টোরি ব্যাকআপ করার জন্য স্ক্রিনশট অ্যাটাচ করা যেতে পারে।২. প্রয়োজন হলে এসএমএস-এর মাধ্যমে একটি কোড পাঠানো হবে। ৩. নিজের ইমেল-অ্যাপিলে বিস্তারিত তথ্য চেক করে সেন্ড-এ ক্লিক করতে হবে। ৪. এবার জবাবের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। (মোটামুটি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে)

Whatsapp ব্যান এড়ানোর উপায়:১. Whatsapp-এর অফিসিয়াল অ্যাপই ব্যবহার করতে হবে। ২. তাদের নিয়ম-নীতি অনুসরণ করতে হবে। ৩. অন্যদের গ্রুপে অ্যাড করার আগে তাঁদের অনুমতি নিতে হবে। ৪. নতুন কন্ট্যাক্টকে প্রথমে স্প্যাম করা চলবে না। সবার আগে নিজের পরিচয় দিতে হবে। ৫. ভুলভাল মেসেজ ফরওয়ার্ড করা চলবে না। ৬. নিয়মবিরুদ্ধ কাজ করা চলবে না। ৭. নিজের অ্যাকাউন্টকে অ্যাক্টিভ রাখতে হবে।