Chandrayaan-3: চাঁদের মাটিতে ভারত! কখন যাত্রা শুরু হবে চন্দ্রযানের? জেনে নিন সব খুঁটিনাটি

Last Updated:
প্রায় ৩.৮৪ লক্ষ কিলোমিটার পথ ভ্রমণ করার পর ২৩ বা ২৪ অগাস্ট চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণ করতে পারে সে।
1/11
এগিয়ে আসছে সময়। ‘লঞ্চ রিহার্সাল’ হয়ে যাওয়ার পরই শুরু হয়েছে বিপরীত গণন বা ‘কাউন্ট ডাউন’। ১৪ জুলাই এলভিএম৩ রকেট থেকে ছিটকে বেরোবে চন্দ্রযান-৩, সূচনা হবে ভারতের তৃতীয় চন্দ্রাভিযানের।
এগিয়ে আসছে সময়। ‘লঞ্চ রিহার্সাল’ হয়ে যাওয়ার পরই শুরু হয়েছে বিপরীত গণন বা ‘কাউন্ট ডাউন’। ১৪ জুলাই এলভিএম৩ রকেট থেকে ছিটকে বেরোবে চন্দ্রযান-৩, সূচনা হবে ভারতের তৃতীয় চন্দ্রাভিযানের।
advertisement
2/11
গত সোমবার ভারতীয় মহাকাশ সংস্থা জানিয়েছে, 'লঞ্চ রিহার্সাল' শেষ হয়েছে। ১৪ জুলাই দুপুর আড়াইটের পরই যাত্রা শুরু করবে তৃতীয় চন্দ্রযান। প্রায় ৩.৮৪ লক্ষ কিলোমিটার পথ ভ্রমণ করার পর ২৩ বা ২৪ অগাস্ট চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণ করতে পারে সে।
গত সোমবার ভারতীয় মহাকাশ সংস্থা জানিয়েছে, 'লঞ্চ রিহার্সাল' শেষ হয়েছে। ১৪ জুলাই দুপুর আড়াইটের পরই যাত্রা শুরু করবে তৃতীয় চন্দ্রযান। প্রায় ৩.৮৪ লক্ষ কিলোমিটার পথ ভ্রমণ করার পর ২৩ বা ২৪ অগাস্ট চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণ করতে পারে সে।
advertisement
3/11
ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা, ইসরো জানিয়েছে, চন্দ্রযান-৩ মহাকাশযানে পাঠানো হচ্ছে একটি ২,১৪৮ কেজির প্রপালশন মডিউল। সঙ্গে রয়েছে একটি ল্যান্ডার, যার ওজন প্রায় ১,৭২৩.৮৯ কেজি এবং ২৬ কেজির একটি রোভার। এর মূল লক্ষ্যই হল নিরাপদে ল্যান্ডারটিকে চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণ করানো।
ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা, ইসরো জানিয়েছে, চন্দ্রযান-৩ মহাকাশযানে পাঠানো হচ্ছে একটি ২,১৪৮ কেজির প্রপালশন মডিউল। সঙ্গে রয়েছে একটি ল্যান্ডার, যার ওজন প্রায় ১,৭২৩.৮৯ কেজি এবং ২৬ কেজির একটি রোভার। এর মূল লক্ষ্যই হল নিরাপদে ল্যান্ডারটিকে চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণ করানো।
advertisement
4/11
তারপর রোভারটি সেখানে চালাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষার কাজ। ল্যান্ডার নেমে গেলে, প্রোপালশন মডিউল যে পেলোড নিয়ে যাবে তা তিন থেকে ছয় মাস সক্রিয় থাকবে। ল্যান্ডার এবং রোভারের মিশন লাইফ হল এক চন্দ্রদিন, পৃথিবীর হিসেবে ১৪ দিন।
তারপর রোভারটি সেখানে চালাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষার কাজ। ল্যান্ডার নেমে গেলে, প্রোপালশন মডিউল যে পেলোড নিয়ে যাবে তা তিন থেকে ছয় মাস সক্রিয় থাকবে। ল্যান্ডার এবং রোভারের মিশন লাইফ হল এক চন্দ্রদিন, পৃথিবীর হিসেবে ১৪ দিন।
advertisement
5/11
ইসরো জানিয়েছে, চাঁদের কক্ষপথ থেকে পৃথিবীর স্পেকট্রাল এবং পোলারি মেট্রিক পরিমাপ করার জন্য প্রপালশন মডিউলটিতে দেওয়া হয়েছে Spectro-polarimetry of Habitable Planet Earth (SHAPE) পেলোড।
ইসরো জানিয়েছে, চাঁদের কক্ষপথ থেকে পৃথিবীর স্পেকট্রাল এবং পোলারি মেট্রিক পরিমাপ করার জন্য প্রপালশন মডিউলটিতে দেওয়া হয়েছে Spectro-polarimetry of Habitable Planet Earth (SHAPE) পেলোড।
advertisement
6/11
ল্যান্ডারে রয়েছে চন্দ্রপৃষ্ঠের তাপমাত্রা ও তাপের পরিবাহিতা পরিমাপের জন্য সারফেস থার্মোফিজিকাল এক্সপেরিমেন্ট বা ChaSTE, ভূমিকম্প পরিমাপের জন্য লুনার সিসমিক অ্যাক্টিভিটি বা ILSA এর জন্য যন্ত্র, প্লাজমা ঘনত্ব এবং বৈচিত্র্য পরিমাপ করার জন্য ল্যাংমুইর প্রোব (Langmuir Probe)।
ল্যান্ডারে রয়েছে চন্দ্রপৃষ্ঠের তাপমাত্রা ও তাপের পরিবাহিতা পরিমাপের জন্য সারফেস থার্মোফিজিকাল এক্সপেরিমেন্ট বা ChaSTE, ভূমিকম্প পরিমাপের জন্য লুনার সিসমিক অ্যাক্টিভিটি বা ILSA এর জন্য যন্ত্র, প্লাজমা ঘনত্ব এবং বৈচিত্র্য পরিমাপ করার জন্য ল্যাংমুইর প্রোব (Langmuir Probe)।
advertisement
7/11
সেই সঙ্গে NASA-র একটি প্যাসিভ লেজার রেট্রোরিফ্লেক্টর অ্যারে (Laser Retroreflector Array)-ও রাখা হচ্ছে চাঁদের লেজার রেঞ্জিং পরীক্ষা করার জন্য। রয়েছে, আলফা পার্টিকেল এক্স-রে স্পেকট্রোমিটার (এপিএক্সএস) এবং লেজার ইনডিউসড ব্রেকডাউন স্পেকট্রোস্কোপ (এলআইবিএস), যা চাঁদের মাটি পরীক্ষা করবে।
সেই সঙ্গে NASA-র একটি প্যাসিভ লেজার রেট্রোরিফ্লেক্টর অ্যারে (Laser Retroreflector Array)-ও রাখা হচ্ছে চাঁদের লেজার রেঞ্জিং পরীক্ষা করার জন্য। রয়েছে, আলফা পার্টিকেল এক্স-রে স্পেকট্রোমিটার (এপিএক্সএস) এবং লেজার ইনডিউসড ব্রেকডাউন স্পেকট্রোস্কোপ (এলআইবিএস), যা চাঁদের মাটি পরীক্ষা করবে।
advertisement
8/11
এই অভিযানের প্রথম পর্যায়ে ভারতের ৪৩.৫ মিটার উচ্চতা ও ৬৪২ টন ওজনের ভারী পাল্লার রকেট এলভিএম৩ বহন করে নিয়ে যাবে চন্দ্রযান-৩-কে। এলভিএম৩ এর আগে টানা ছয়টি সফল অভিযানে নেতৃত্ব দিয়েছে। এটি চন্দ্রযান ৩-কে জিও ট্রান্সফার অরবিটে (GTO) প্রতিস্থাপন করে আসবে। তারপর তা চাঁদের চারপাশে ঘুরে স্থাপিত হবে চন্দ্রপৃষ্ঠে।
এই অভিযানের প্রথম পর্যায়ে ভারতের ৪৩.৫ মিটার উচ্চতা ও ৬৪২ টন ওজনের ভারী পাল্লার রকেট এলভিএম৩ বহন করে নিয়ে যাবে চন্দ্রযান-৩-কে। এলভিএম৩ এর আগে টানা ছয়টি সফল অভিযানে নেতৃত্ব দিয়েছে। এটি চন্দ্রযান ৩-কে জিও ট্রান্সফার অরবিটে (GTO) প্রতিস্থাপন করে আসবে। তারপর তা চাঁদের চারপাশে ঘুরে স্থাপিত হবে চন্দ্রপৃষ্ঠে।
advertisement
9/11
১৪ জুলাই দুপুর ২টো ৩৫ মিনিটে অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটা রকেট বন্দরে দ্বিতীয় লঞ্চ প্যাড থেকে এটির উৎক্ষেপণ হবে। উড়ানের পর ১৬ মিনিটেরও মধ্যে রকেটটি প্রায় ১৭৯ কিলোমিটার উচ্চতায় চন্দ্রযান-৩ মহাকাশযানটিকে ছেড়ে দেবে।
১৪ জুলাই দুপুর ২টো ৩৫ মিনিটে অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটা রকেট বন্দরে দ্বিতীয় লঞ্চ প্যাড থেকে এটির উৎক্ষেপণ হবে। উড়ানের পর ১৬ মিনিটেরও মধ্যে রকেটটি প্রায় ১৭৯ কিলোমিটার উচ্চতায় চন্দ্রযান-৩ মহাকাশযানটিকে ছেড়ে দেবে।
advertisement
10/11
২০১৯ সালে চন্দ্রযান-২ অভিযান ব্যর্থ হয়েছিল। সেবার ল্যান্ডার ‘বিক্রম’ চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণের সময়ই ধ্বংস হয়ে যায়। এবারের অভিযানটিকে গত অভিযানেরই অনুসৃতি হিসেবে দেখা হচ্ছে। ইসরোর এক উর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন যে গত বারের তুলনায় এবারের ল্যান্ডারে কিছু পরিবর্তনও করা হয়েছে। যেমন পাঁচটির পরিবর্তে এবার রয়েছে চারটি মোটর। পরিবর্তন হয়েছে সফটওয়্যারেও।
২০১৯ সালে চন্দ্রযান-২ অভিযান ব্যর্থ হয়েছিল। সেবার ল্যান্ডার ‘বিক্রম’ চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণের সময়ই ধ্বংস হয়ে যায়। এবারের অভিযানটিকে গত অভিযানেরই অনুসৃতি হিসেবে দেখা হচ্ছে। ইসরোর এক উর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন যে গত বারের তুলনায় এবারের ল্যান্ডারে কিছু পরিবর্তনও করা হয়েছে। যেমন পাঁচটির পরিবর্তে এবার রয়েছে চারটি মোটর। পরিবর্তন হয়েছে সফটওয়্যারেও।
advertisement
11/11
চন্দ্রযান-২ ল্যান্ডারের নাম দেওয়া হয়েছিল বিজ্ঞানী বিক্রম সারাভাইয়ের নামে, রোভারের নাম ছিল প্রজ্ঞান। কিন্তু এবার এখনও পর্যন্ত নামকরণের বিষয়ে কোনও কথা জানায়নি ইসরো।
চন্দ্রযান-২ ল্যান্ডারের নাম দেওয়া হয়েছিল বিজ্ঞানী বিক্রম সারাভাইয়ের নামে, রোভারের নাম ছিল প্রজ্ঞান। কিন্তু এবার এখনও পর্যন্ত নামকরণের বিষয়ে কোনও কথা জানায়নি ইসরো।
advertisement
advertisement
advertisement