Car AC Tips: এসি চালিয়েও ঠান্ডা হচ্ছে না গাড়ি! এই সব উপায়ে মিলবে চটজলদি সমাধান, তীব্র দাবদাহে পান 'শিমলার' শীতলতা

চাঁদি ফাটা রোদের মধ্যে বেরনো দায়। তবে গাড়ির মধ্যে স্বস্তি। সৌজন্যে এসি। যেন একটুকরো ওয়েসিস। কিন্তু গরমের মধ্যে যদি গাড়ির এসি না চলে তাহলে মুশকিল। ঘেমে নেয়ে একশা অবস্থা হয়। এই সময় গাড়ির এসি-এর যত্ন নেওয়া জরুরি।

ছায়ায় গাড়ি পার্ক: সূর্যের প্রখর তাপে গাড়ির ভেতরের তাপমাত্রা আগুনের মতো হয়ে ওঠে! তাই সম্ভব হলে গাছের ছায়ায় বা ছাউনির নিচে পার্ক করতে হবে। এতে ভেতরের উত্তাপ কম থাকবে, এসির উপর চাপও কমবে, আর গাড়ি দ্রুত ঠান্ডা হবে।

রি-সার্কুলেশন মোড চালু: এসি চালানোর সময় রি-সার্কুলেশন মোড অন করতে হবে। এতে বাইরের গরম বাতাস ভিতরে ঢুকতে পারবে না। গাড়ির কেবিনের ঠান্ডা বাতাসই ঘুরে ফিরে কুলিং বাড়াবে।

এসির তাপমাত্রা ব্যালেন্স: অনেকে গাড়ি স্টার্ট করেই এসি ফুল ব্লাস্টে চালিয়ে দেন। এতে এসির উপর বাড়তি চাপ পড়ে। এসি সবসময় মাঝারি তাপমাত্রায় রাখতে হয়, এতে ঠান্ডাও থাকবে, জ্বালানিও বাঁচবে।

নিয়মিত এসির ফিল্টার পরিষ্কার: ধুলো-ময়লায় এসির ফিল্টার দ্রুত ব্লক হয়ে যায়। পারফরম্যান্সে প্রভাব পড়ে। তাই নিয়মিত ফিল্টার পরিষ্কার করা উচিত। প্রয়োজনে বদলে ফেলতে হবে।

নিয়মিত সার্ভিসিং: শুধু ইঞ্জিন নয়, গাড়ির এসিরও নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ প্রয়োজন। এতে কুলিং ঠিক থাকবে, এসির আয়ুও বাড়বে।

জানালায় শেড: গাড়ির জানালায় সান শেড বা UV প্রটেক্টর লাগাতে হবে, এতে বাইরের রোদের প্রভাব কমবে, আর এসির উপর বাড়তি চাপ পড়বে না।

ধীরে ধীরে এসি চালু: গাড়ি চালু করেই কুলিং লেভেল বাড়িয়ে দিলে মুশকিল। ধাপে ধাপে কমাতে হবে, এতে এসির কার্যকারিতা বাড়বে। গরম বাতাস দ্রুত বাইরে বেরিয়ে যাবে।

এসির ভেন্টের দিক: ভুল ভেন্ট সেটিংসের কারণে অনেক সময় একদিকে ঠান্ডা বেশি, অন্যদিকে কম লাগে। তাই এসি চালানোর পর ভেন্ট ঠিক জায়গায় সেট করতে হবে, যাতে পুরো কেবিন সমানভাবে ঠান্ডা হয়।

এসির ভেন্টের সামনে কিছু রাখা যাবে না: অনেক সময় ড্যাশবোর্ডে অ্যাক্সেসরিজ বা কাগজ রাখেন অনেকে। বাতাসের প্রবাহে বাধা সৃষ্টি করে। ফলে এসির কুলিং কমে যায়। তাই ভেন্টের সামনেটা খালি রাখতে হবে।

এসির কুল্যান্ট বদল: গাড়ির এসির কুল্যান্ট (AC Coolant) ধীরে ধীরে শেষ হয়ে যায়, তাই সময় মতো নতুন কুল্যান্ট ভরতে হবে, যাতে গরমের দিনেও এসির কুলিং ঠিকঠাক থাকে।