Virat Kohli's Dream: বিরাটের স্বপ্ন পূরণের পথ মসৃণ নয়, বিছিয়ে রয়েছে হাজার কাঁটা, এই পচা শামুক থেকে সাবধান
- Published by:Debalina Datta
- news18 bangla
Last Updated:
Virat Kohli's Dream: সাবধান কিং কোহলি, ‘এবার না হলে নেভার’, কোন কোন কারণে হতে পারে সব ভন্ডুল
বেঙ্গালুরু: রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু (RCB) আবারও শিরোপার কাছাকাছি চলে এসেছে। আইপিএলের ১৮ বছরের ইতিহাসে RCB চতুর্থবারের মতো ফাইনালে উঠেছে কিন্তু তাদের ট্র্যাক রেকর্ড এমন যে তারা যে খেতাব জিতবেই তা বিশ্বাস করা কঠিন। বিরাট কোহলির আরসিবির একটা-দুটো নয়, অনেক দুর্বলতা আছে যা তাঁদের ফ্যানদের এখনও নিশ্চিত ভাবে ভাবতে দিতে পারছে না এবারও তাঁরা চ্যাম্পিয়ন হবে। ফ্যানরা বিশ্বাস করছেন যে আরসিবি তখনই চ্যাম্পিয়ন হবে যখন তারা ট্রফি তাদের হাতে পাবে। এর সবচেয়ে বড় কারণ হল, বিরাট কোহলির হাত থেকে তিন -তিনবার ট্রফি উঠতে উঠতেও হাত থেকে বেরিয়ে গেছে। চলতি মরশুমে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুতে ৫টি দুর্বলতা তাঁদের একেবারে হাতে হ্যারিকেন করে দিতে পারে৷
advertisement
১. বিরাট কোহলির উপর নির্ভরতাবিরাট কোহলি, বরাবরের মতো, এই মরশুমেও আরসিবি-র জার্সি গায়ে প্রচুর রান করছেন। এটি আরসিবির একটি বড় শক্তি, কিন্তু এটিই আবার তাদের দুর্বলতারও কারণ হয়ে ওঠে। ইতিহাস সাক্ষী যে প্রায়শই বিরাট ব্যর্থ হলে ব্যাটিং অর্ডার ভেঙে পড়ে। ২০২৫ সালের আইপিএলে বিরাট ৬০০-র বেশি রান করেছেন। পঞ্জাব কিংসের বোলাররা ফাইনালে কোহলিকে টার্গেট করতে পারে। তারা জানে কোহলির আউট মানে অর্ধেক ম্যাচ জেতা।
advertisement
২. মিডল অর্ডারের ধারাবাহিকতার অভাবওপেনার বিরাট কোহলি এবং ফিল সল্ট আরসিবির শক্তি, অন্যদিকে মিডল অর্ডার এই দলের বড় দুর্বলতা। কোহলি এবং সল্টের উদ্বোধনী জুটি পাওয়ারপ্লেতে ৫১৫ রান করেছে। অন্যদিকে, মিডল অর্ডারে, অধিনায়ক রাজ পাতিদার, লিয়াম লিভিংস্টোন এবং জিতেশ শর্মার মতো খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্সে ধারাবাহিকতা নেই। বিশেষ করে চাপের মুখে এই দল ভেঙে পড়ে।
advertisement
৩. স্পিন আক্রমণ দুর্বলজস হ্যাজেলউড এবং ভুবনেশ্বর কুমারের উপস্থিতিতে আরসিবির পেস আক্রমণ ভালো। যশ দয়ালও ভাল পারফর্ম করেছেন, কিন্তু দলের স্পিন বিভাগ দুর্বল। দলের প্রধান স্পিনার সুয়েশ শর্মা ও ক্রুনাল পান্ডিয়া। অধিনায়ক শ্রেয়স ছাড়াও পাঞ্জাব কিংসে নেহাল ভাধেরা, শশাঙ্ক সিং, প্রিয়ংশ আর্য এবং প্রভসিমরান সিং-এর মতো ভারতীয় ব্যাটসম্যান রয়েছে, যারা স্পিন ভাল খেলে। যদি পিচ ধীর হয়ে যায়, তাহলে আরসিবি স্পিনারদের কিন্তু বড় চাপ হয়ে যাবে৷
advertisement
৪. ফাইনালে হারের ইতিহাসফাইনালে আরসিবির রেকর্ড হতাশাজনক। ২০০৯ সালে ডেকান চার্জার্স তাদের ৬ রানে হারিয়েছিল৷ ২০১১ সালে চেন্নাই সুপার কিংস তাদের ৫৮ রানে হারায়। এরপর ২০১৬ সালে ফের ফাইনালে ওঠে আরসিবি, কিন্তু এবার সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ তাদের পরাজিত করে। আরসিবির পরাজয়ের কারণ হলো বড় মঞ্চে তাদের ভাঙন। সমালোচকরা এই দলটিকে দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে তুলনা করেন, তাদের চোকার বলা হয় আইপিএলের৷
advertisement
৫. ১৮ বছরের প্রত্যাশার চাপআরসিবি হল আইপিএলের কয়েকটি দলের মধ্যে একটি যাদের দেশ জুড়ে ভক্ত সংখ্যা রয়েছে। যদিও দলটি একটিও শিরোপা জিততে পারেনি। কিন্তু তারপরেও আরসিবি-র ফ্যানরা নিজেদের দলের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থণ জারি রেখেছেন। আর এই আরসিবির ফ্যানদের প্রচণ্ড চাপ রয়েছে। অন্যদিকে, পঞ্জাব কিংসের দলে ৫-৬ জন নতুন খেলোয়াড় রয়েছে। আরসিবির মতো, তারাও কখনও শিরোপা জিততে পারেনি, কিন্তু তাদের দল প্রতি দুই-তিন বছর অন্তর পরিবর্তিত হয়। এই কারণেই শ্রেয়স আইয়ার, কোচ রিকি পন্টিং বা অন্য কোনও খেলোয়াড়ের উপর ট্রফি জয়ের জন্য বাড়তি কোনও চাপ নেই। এই কারণে, এই দলটি স্বতস্ফূর্ত খেলা খেলবে, যা চাপের মধ্যে খেলতে থাকা আরসিবির স্বপ্ন ভেঙে দিতে পারে।