রুদ্ধশ্বাস। অবিশাস্য। মহাকাব্য। এটা গল্প হলেও পারত। ক্রিকেট চ্যাম্পিয়ন। বিশ্বকাপ ইংল্যান্ডের। নায়ক এক নিউজিল্যান্ড জন্মানো ক্রিকেটার। বেন স্টোকস। বাঁ-হাতি তারকার হাত ধরেই ৪৪ বছরের শাপমুক্তি। ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শেষ ওভারে চারটি ছয় হজম করে খলনায়ক হয়েছিলেন। সেই অলরাউন্ডার, দেশকে প্রথম বিশ্বকাপ তুলে দিলেন। মাঠের বাইরের ব্যাডবয় ইমেজ ঝেড়ে ফেলে ইংল্যান্ডের স্বপ্নের নায়ক হলেন স্টোকস। Photo Source: Twitter
১৯৯১, ৪ জুন। ক্রাইসচার্চে জন্ম বেন স্টোকসের। বাবা জেরার্ড স্টোকস জাতীয় পর্যায় রাগবি খেলোয়াড় ও কোচ। ১২ বছর বয়েছে বেনকে নিয়ে ইংল্যান্ডের ক্যামব্রিয়ান অঞ্চলে চলে আসেন সিনিয়র স্টোকস। ওয়ার্কিংটন টাউন ক্লাবের কোচিংয়ের দায়িত্ব নেন তিনি। একসময় রাগবি খেলা বেন, ক্রিকেট শেখা শুরু করেন। কোকরামাউথ ক্রিকেট ক্লাবে হাতেখড়ি। ১৫ বছর বয়েছে নর্থ ল্যাঙ্কাশায়ার অ্যান্ড ক্যামব্রিয়া ক্রিকেট লিগ জেতেন বাঁহাতি অলরাউন্ডার। ২০১৩ সালে বাবা-মা ফের ফিরে যান নিউজিল্যান্ডে। খেলার জন্য বিলেতেই থেকে যান স্টোকস। Photo Source: Twitter
চাপের মুখে মাথা ঠান্ডা। এই মন্ত্রেরই লড়ে গেলেন স্টোকস। বাটলারকে সঙ্গী করে ইনিংস টানলেন। ৫০ ওভারে জেতাতে না পারলেও, শেষ ওভার পর্যন্ত দাঁড়িয়ে নিউজিল্যান্ডের স্কোরে পৌঁছে দিলেন ইংল্যান্ডকে। সুপার ওভারে বিধ্বংসী ব্যাট, দলে আত্মবিশ্বাসটা ফেরাল। ব্যাডবয় আজ সুপার হিরো। সচিনের হাত থেকে সেরার পুরস্কারটা বেনেরও তো শাপমুক্তি। Photo Source: Twitter