Bollywood Gossip: সুন্দরী অভিনেত্রী, ছিলেন রবি শাস্ত্রীর বান্ধবী! বিয়ে ভাঙতেই ভারতীয় দলের ক্যাপ্টেনের ছেলের বউ!

সিনেমা এবং ক্রিকেট—এই দুই জগতের সম্পর্ক অনেক পুরনো। সিনেমা একটি গল্পের মাধ্যমে দর্শকদের মন জয় করে, অন্যদিকে ক্রিকেট একটি খেলার রূপে উচ্ছ্বাস ও রোমাঞ্চ তৈরি করে। সিনেমায় যেমন অভিনেতা ও পরিচালকরা তারকা হন, তেমনই ক্রিকেটে খেলোয়াড়রা হয়ে যান তারকা। সিনেমার মতো ক্রিকেটেও থাকে নাটকীয়তা, উত্তেজনা ও অপ্রত্যাশিত মোড়।
একটা ম্যাচের প্রতিটি মুহূর্ত যেন এক একটি নতুন গল্প তৈরি করে, একেবারে সিনেমার চিত্রনাট্যের মতো।
মানুষ যেমন সিনেমার চরিত্রগুলোর সঙ্গে একাত্ম হয়ে যায়, তেমনই ক্রিকেট খেলোয়াড়দের সাফল্য কিংবা ব্যর্থতায় দর্শকদের মনে কখনও গর্ব, তো কখনও হতাশা জন্ম নেয়। বলিউডের অনেক অভিনেত্রী ক্রিকেটারদের জীবনসঙ্গী হয়েছেন, যেমন: শর্মিলা ঠাকুর ও অনুষ্কা শর্মা—এই নামগুলো সকলের মুখে মুখে ঘোরে। অনেক অভিনেত্রীর ক্রিকেটারদের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কও ছিল।
কিন্তু আপনি কি সেই অভিনেত্রীর কথা জানেন, যাঁর বিয়ে এক বিখ্যাত ক্রিকেটারের সঙ্গে ঠিক হয়েও হয়নি!

বলিউড অভিনেত্রীদের সঙ্গে ক্রিকেটারদের প্রেমকাহিনির কথা উঠলেই এই প্রেমের গল্পটি অবশ্যই মনে পড়ে অনেকের। আটের দশকের এক জনপ্রিয় অভিনেত্রীর বিয়ে এক বিখ্যাত ক্রিকেটারের সঙ্গে প্রায় ঠিক হয়েই গিয়েছিল। কিন্তু তারপর এমন কিছু ঘটে যে এই জুটির বিয়ে ভেঙে যায়।
চলুন জেনে নেওয়া যাক কে ছিলেন এই অভিনেত্রী এবং কী ঘটেছিল সেই সময়!

এই অভিনেত্রী হলেন অমৃতা সিং, যিনি এক সময় বিনোদ খান্না-এর প্রেমে পড়েছিলেন।
১৯৮৩ সালে বলিউডে মুক্তি পাওয়া ‘বেতাব’ ছবির মাধ্যমে অমৃতা সিং অভিনয়ে আত্মপ্রকাশ করেন।
তিনি অভিনয় করেছেন সেই সময়ের নামজাদা তারকাদের সঙ্গে, যেমন: অমিতাভ বচ্চন, অনিল কাপুর, সঞ্জয় দত্ত, ও বিনোদ খান্না।

অমৃতা সিং এবং ভারতীয় ক্রিকেটার রবি শাস্ত্রী একে অপরকে ভালবাসতেন। তাঁরা বিয়ে করার সিদ্ধান্তও নিয়ে ফেলেছিলেন। কিন্তু ভাগ্যের লেখায় অন্য কিছু লেখা ছিল। তাঁদের বিয়ে শেষ পর্যন্ত ভেঙে যায়।

রবি শাস্ত্রী এবং অমৃতা সিংয়ের দেখা হয়েছিল এক বন্ধুর মাধ্যমে। এই বন্ধুত্ব কখন যে প্রেমে পরিণত হয়, তা কেউ বুঝতেই পারেনি কিছুদিন একে অপরকে ডেট করার পর দু’জনে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন যে তাঁরা তাদের সম্পর্ককে একটি নাম দেবেন—অর্থাৎ বিয়ে করবেন।

মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, রবি শাস্ত্রী অমৃতা সিংয়ের সামনে একটি শর্ত রেখেছিলেন—বিয়ের পর তিনি (অমৃতা) বিয়ের পর আর সিনেমায় কাজ করতে পারবেন না। কিন্তু অমৃতা এই শর্ত মেনে নিতে পারেননি। এই বিষয়টি নিয়ে দু'জনে অনেকবার আলোচনা করেছিলেন, কিন্তু কোনও সমাধান বের হয়নি। শেষমেশ, অমৃতা সিং নিজের কেরিয়ারকে অগ্রাধিকার দিয়ে এই সম্পর্ক থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত নেন।

রবি শাস্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পর অমৃতা সিং মানসিকভাবে খুব ভেঙে পড়েছিলেন।
এরপর ১৯৯১ সালে তিনি সইফ আলি খানের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। সঈফ ছিলেন অমৃতার থেকে বয়সে অনেকটাই ছোট।

দু’জনের প্রথম দেখা হয়েছিল একটি ফটোশুটের মাধ্যমে।
সেই প্রথম দেখাতেই একে অপরের প্রতি ভালবাসা জন্মায়।
তবে ১৩ বছর পর সেই বিয়ে ভেঙে যায়। সঈফ বিয়ে করেন করিনা কাপুরকে।