ওই অ্যাড শুটিংয়ের পর থেকেই দুজনের যোগাযোগ বাড়তে থাকে। বন্ধুত্ব থেকে তা ধীরে ধীরে ভালোবাসায় পরিণত হয়। সম্পর্ক শুরু হওয়ার পর থেকে সেই অর্থে কোনওদিনই তা গোপন করেননি দুই তারকা। তা সে ২০১৪ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ফিরে বিরাট সটান অনুষ্কার বাড়িতে দেখা করতে যাওয়া হোক বা বিরাটের একাধিক খেলায় অনুষ্কার উপস্থিতি। সব ছিল জলের মতই পরিষ্কার।
বিরাটের প্রেমিকা হওয়ার কম খেসারতও দিতে হয়নি অনুষ্কাকে। বিরাটের খারাপ খেলার জন্য একাধিকবার দায়ী করা হয়েছে অনুষ্কাকে। ২০১৫-র বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ভারতের হার এবং ২০১৬-র আইসিসি ওয়ার্ল্ড টি টোয়েন্টিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ভারতের হারের জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় আক্রমণের মুখে পড়েছিলেন অনুষ্কা শর্মা। আইপিএলেও ঘটেছে একই ঘটনা। যদিও সবসময় অনুষ্কার পাশে থেকেছেন বিরাট।
২০১৬-র শুরুর দিকে রটে গিয়েছিল বিরাট-অনুষ্কার ব্রেক-আপ হয়ে গিয়েছে। বিরাট ইনস্টাগ্রামে একটি ছবি পোস্ট করে লিখেছিলেন, ‘হার্টব্রোকেন’। আর তাতেই জল্পনা জোরালো হয়। যদিও সেই জল্পনায় জল ঢেলে তাঁদের ফের একসঙ্গে দেখা যায়। এর পর থেকে, একাধিক বার জনসমক্ষে প্রশংসা করে বিরাট বুঝিয়ে দিয়েছিলেন অনুষ্কা তাঁর জীবনে কতটা গুরুত্বপূর্ণ।
দেখতে দেখতে ভামিকাও দুই বছরের হয়ে গিয়েছে। তবে বিরাট কোহলি ও অনুষ্কা শর্মার যে বন্ডিং আগেও লক্ষ্য করা যেত তা এখনও অটুট। তাই তো স্ত্রীর জন্মদিনে গতবার বিরাট লিখেছেন, 'ঈশ্বরকে ধন্যবাদ তুমি জন্মেছো।তুমি না থাকলে আমার যে কী হত!' আর ২০২৩ সালেও আদুরে শুভোচ্ছায় লিখেছেন, 'রোগা-মোটা থেকে সুখে-দুঃখে তোমার সমস্ত সুন্দর পাগলামিতে তোমাকে ভালোবাসি। শুভ জন্মদিন আমার সবকিছু।'